ঈদুল আযহার দিন সকালে টঙ্গীর তিস্তার গেট এলাকায় শরিফুল ইসলাম (১৮) নামে এক কলেজ ছাত্র বিদ্যুৎ স্পর্শে গুরুতর আহত হয়।
আহতকে পরিবারের সদস্যরা চিকিৎসার জন্য শহিদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
এসময় ঈদের দিন হওয়ার কারণে কোন ধরনের যানবাহন না থাকায় সরকারি হাসপাতালের এম্বুলেন্স জন্য রোগীর স্বজনরা ইমারজেন্সি শাখায় যোগাযোগ করা হলে সরকারি ড্রাইভার সিরাজের সাথে যোগাযোগ করতে বলে।
ড্রাইভার সিরাজের সাথে যোগাযোগের এক পর্যায় ৩ হাজার ৫শত টাকা ভাড়া দাবী করেন। এ নিয়ে বেশকিছু সময় নানা তাল বাহানা করে এক পর্যায়ে রোগীর স্বজনকে বলে এম্বলেন্স কাজ করাতে হবে বলে আগে টাকা দাবী করেন।
এভাবে প্রায় তিন ঘন্টা অতিবাহিত হয়ে গেলে রোগীকে নিয়ে রওনা করেন। একপর্যায়ে ঢাকা মেডিকেলের কাছাকাছি যাওয়ার পথে রোগী মারা যান।
এঘটনায় রোগীর স্বজনরা স্থানীয় সংবাদকর্মীদের গতকাল শনিবার সকালে অভিযোগ করে বলেন, সরকারি হাসপাতালে গুরুতর অসুস্থ রোগীদের দ্রুত উন্নত চিকিৎসার জন্য সরকার নির্ধারিত এম্বুলেন্স সেবা প্রধান করার কথা সেখানে শহিদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের ড্রাইভার সিরাজ তার ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের উদ্যেশে এভাবে আমাদের আদরের শরিফুলকে আকালে প্রাণ দিতে হলো।
সঠিক সময় চিকিৎসা প্রদান করলে হয়তোবা বেচে যেত একটি প্রাণ। আমাদের মত এমন যেন কারো পরিবারের এধরনের স্বেচ্ছাচারিতায় না পরতে হয়। এখনি যদি এধরনের দুর্নিতি বন্ধ না হয় ক্ষতিগ্রস্ত হবে সাধারণ পরিবার। আমরা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃস্টি কামনা করছি।
এঘটনায় অনুসন্ধানে শহিদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা বিভিন্ন রোগী স্বজনদের সাথে কথা জানা যায়, বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতালে এম্বুলেন্স দালাল চক্রের খপ্পরে পরে অনেক রোগী বড় অংকে মাসুল গুনতে হয়। এ সিন্ডিকেট চক্রে রয়েছে হাসপাতালে নিয়জিত এক শ্রেনির অসাধু কর্মকর্তা।
এবিষয়ে সরকারি এম্বুলেন্স ড্রাইভার সিরাজের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, প্রাইভেট এম্বুলেন্স এর জন্য ভাড়া চেয়েছিলাম। একপর্যয়ে আমার গাড়ী ধাক্কাদিয়ে চালু করে রোগী নিয়ে যাই। আমি টাকা পাই নাই।
টঙ্গীতে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে মাক্স ও স্বাস্থ্য সামগ্রী বিতরণ