মো: বশির আলম, গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গীতে ৫৪নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ ও সহযাগেী সংগঠনের উদ্যোগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আলাচেনা সভা দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত
হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে টঙ্গী পশ্চিম থানাধীন কলেজ রোড এলাকার নিউ ব্লোন স্কুল মাঠে এই মাহফিলের আয়াজেন করা হয়।
৫৪নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সমাজ কল্যান সম্পাদক মো.মজিবুর রহমানের স ালনায় আয়োজিত দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ
আওয়ামীলীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৩৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও মেয়র পদপ্রার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুন মন্ডল।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, গাজীপুর মহানগর মৎস্যজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আসাদুল কবির, ৫৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ মো.খলিলুর রহমান, যুবলীগের সাধারন সম্পাদক হাজী বাবলু, গাজীপুর মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি হুমায়ুন কবির বাপ্পি প্রমুখ।
এ সময় প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, ১৯৭৫ সালের এ মাসেই বাঙালি জাতি হারিয়েছে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তান জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট কালরাতে ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা
করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল, শিশু শেখ রাসেলসহ পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল।
পৃথিবীর এই ঘৃণ্যতম হত্যাকা- থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর সহোদর শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আব্দুর রব সেরনিয়াবাত, ভাগনে যুবনেতা ও সাংবাদিক শেখ ফজলুল হক মনি, তার সহধর্মিণী আরজু মনি ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ জন সদস্য ও আত্মীয়স্বজন।
সেনাবাহিনীর কিছুসংখ্যক বিপদগামী সদস্য সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর গোটা বিশ্বে নেমে আসে তীব্র শোকের ছায়া। সেদিন অলৌকিকভাবে প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।
পরবর্তীকালে শেখ হাসিনার বারবার প্রাণনাশের চেষ্টা করা হয়েছে। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট এই শোকের মাসেই গ্রেনেড হামলায় হত্যার চেষ্টা করা হয় জাতির জনকের কন্যা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনাকে। ভাগ্যক্রমে সেদিন তিনি বেঁচে গেলেও এ ঘটনায় সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের সহধর্মিণী, আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদিকা আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত এবং পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী আহত হন। আলোচনা সভা শেষে দোয়া ও খাবার বিতরণ করা হয়।