মোঃ জাহাঙ্গীর আলম. নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ৪নং কাদরা ইউনিয়নের নন্দীরপাড় গ্রামে বান্ধবীর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে এসে প্রবাসীর স্ত্রীকে (২২) ধর্ষণের ঘটনায় মামলার ৩নং আসামী মোঃ আইমুন ভূঞা (২৬)কে
১৩দিন পর চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সি-বিচ এলাকা থেকে প্রযুক্তি ব্যবহার করে বুধবার বিকেলে গ্রেফতার করেছে সেনবাগ থানার এসআই তারেকুর রহমানের নেতৃত্বে সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স।
গ্রেফতারকৃত মোঃ আইমুন ভূঁঞা সেনবাগ উপজেলার ৪নং কাদরা ইউনিয়নের নন্দীর পাড় গ্রামের মোঃ মোস্তফার ছেলে। বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গ্রেফতারকৃত আসামী আইনুন ভঁঞাকে কঠোর নিরাপত্যার মধ্যদিয়ে নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রাতেকুর রহমান জানায় ধর্ষণের ঘটনার পর থেকে ধর্ষক আইমুন পালিয়ে আত্মগোপন করে। এরপর পুলিশ ধর্ষক আইমুনকে ধরার জন্য সেনবাগ থানার এক নারী পুলিশকে দিয়ে ধর্ষক আইমুনকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে।
এরপর ওই নারীর সাথে সে ধর্ষক আইমুন চট্রগ্রামের সি-বিচ এলাকায় বুধবার বিকেলে দেখা করতে এলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। জানাগেছে, শুক্রবার (২০ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে ভুক্তভোগী নারী (২২) এক সন্তানের জননী গৃহবধূ তার বান্ধবীর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে নন্দীরপাড় গ্রামে তাদের বাড়িতে যান।
জন্মদিনের কেক কাটার পর স্থানীয় লেদু মিয়ার ছেলে ফরহাদের নেতৃত্বে ৫/৭ জন বখাটে ওই বাড়িতে এসে জন্মদিদনর অনুষ্ঠানে আসা ওই গৃহবধূর সাথে রাজন নামে এক যুবকের সম্পর্ক আছে বলে অভিযোগ তুলে তাদেরকে ফরহাদের বিল্ডিংয়ে নিয়ে আটক করে।
একপর্যায়ে বিশ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। রাজন চাঁদা দিতে অস্বীকার করে বিভিন্ন জায়গায় ফোনে যোগাযোগ করলে কিছুক্ষণ পর রাজনকে ছেড়ে দেয়ার জন্য ফোন আসলে তারা রাজনকে ছেড়ে দেয়। কিন্ত গৃহবধূকে আটকে রেখে কুপ্রস্তাব দেয় বখাটেরা।
তাতে রাজি সে রাজি না হওয়ায় বসতঘরের রুমের দরজা বন্ধ করে সন্ত্রাসী বখাটে ফরহাদ জোরপূর্বক তাকে ওই প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ করে। এ সময় তার অপর সহযোগী আইমুন ভূঁঞা সহ কয়েকজন বাহিরে পাহারা দেয়। পরে তারাও ওই গৃহবধূকে ধর্ষন করে।
এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার নারী গত সোমবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে সেনবাগ থানায় নারীও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ফরহাদ,সাইফুল ও আইমুনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত ৫/৭ জনের বিরুদ্ধে সেনবাগ থানায় ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন।
সেনবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল বাতেন মৃধা জানান, এ ঘটনায় ফাহাদকে প্রধান আসামিকে ৩ জনের বিরুদ্ধে নারীও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন নির্যাতিতা গৃহবধূ। ওই মামলার ৩নম্বর আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।অপর আসামীদেরেও গ্রেফতারের চেষ্ঠা চলছে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে বৃহস্পতিবার দুপুরে নোয়াখালী বিচারিক আদালতে মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।