মো: বশির আলম, আগামী ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে অনাকাঙ্খিত বহুল প্রত্যাশিত অন্যতম মেগা প্রকল্প পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল, চট্টগ্রামের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্ণফুলি টানেলের সঙ্গে বিআরটি প্রকল্প মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন।
গতকাল শুক্রবার সকালে গাজীপুরের টঙ্গীতে বিআরটি প্রকল্পের চলমান কাজ পরিদর্শণে গিয়ে মন্ত্রী ওইসব কথা বলেছেন। এসময় তার সঙ্গে সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়ের (মহাসড়ক বিভাগ) সচিব মো. নজরুল ইসলাম,
বিআরটি’র পরিচালক মো. সফিকুল ইসলাম, সওজের প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুস সবুর, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. সবুজ উদ্দিন খান, তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (ঢাকা সার্কেল) মো. আতাউর রহমান, গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার মো. জাকির হাসান প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, গাজীপুর থেকে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর পর্যন্ত চলমান বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পটি জনগণের জন্য অনেক বিড়ম্বনা ও ভোগান্তির কারণ হয়েছে। এখানে সড়কের পাশে ড্রেনেজ সিস্টেমটি অত্যন্ত খারাপ, যে কারণে বর্ষাকালে ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে।
মন্ত্রী বলেছেন, আমাদের বিআরটি প্রকল্পের কাজের সার্বিক অগ্রগতি ৬৩.২৭ শতাংশ। আমরা আশা করছি অনেক আকাঙ্খিত বহুল প্রত্যাশিত শেখ হাসিনার অন্যতম মেগা প্রকল্প আগামি বছর পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল, চট্রগামের বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিবুর রহমান কর্ণফুলি টানেল-এর সঙ্গে আগামি বছর ডিসেম্বরে বিআরটি প্রকল্পও প্রধানমন্ত্রী শুভ উদ্বোধন করতে পারবেন, আমরা সেই প্রতীক্ষায় আছি।
বিআরটি প্রকল্পের জন্য গাজীপুরসহ উত্তরবঙ্গের মানুষ অনেক কষ্ট করেছেন। এখানে তাদের অনেক সমস্যা হয়েছে। ঘন্টার পর ঘন্টা মানুষ রাস্তায় কষ্ট করেছেন।
আমাদের সেতু বিভাগের অংশ প্রায় সাড়ে চার কিলোমিটার ফিফটি পার্সেন্ট কাজ হয়ে গেছে। আমি আশা করি, সড়কে আগামি বর্ষাকালে এ ভোগান্তি আর হবে না। এ বর্ষাকাল আসলে মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই।
আগামি বছর এ পথে যানবাহন নির্বিঘেœ চলবে। একটা কথা আমি সবাইকে বলবো যে কোন নির্মাণ কাজের যন্ত্রণা আছেই। সাময়িক এ যন্ত্রণা সবাইকে মেনে নেয়ার জন্য আমি আহ্বান জানাবো।
যখন এ পথে বিআরটি চালু হবে তখন দুইপাশে প্রতিঘন্টায় ২০হাজার যাত্রী প্রতিদিন যাতায়ত করবে। এটা একটা জনগণের অপূর্ব সুযোগ। এ প্রকল্পে কোন ভুল থাকবে না, কোন ভুল থাকলে তা বার বার সভা করে এডিবি রিভিউ করেছে।