রুবেল চক্রবর্তী,ভোলার তজুমদ্দিনের সোনাপুর ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন মেহেদী হাসান মিশু হাওলাদার।
এছাড়াও ইসলামী শাসনতন্ত্র থেকে ১ জন ও স্বতন্ত্র প্রার্থি হিসেবে আরো আটজন মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছন। ২৫শে নভেম্বর বৃহস্পতিবার শেষদিন পর্যন্ত উপজেলা নির্বাচন অফিসে এসব মনোনয়নপত্র জমা দেন প্রার্থীরা।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সুত্রে জানা যায়, (২৫শে নভেম্বর) সবশেষ আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থি মেহেদী হাসান (নৌকা) মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এসময় তার সাথে ছিলেন, উপজেলা
আওয়ামীলীগের সভাপতি ফখরুল আলম জাহাঙ্গীর, সাধারন সম্পাদক ফজলুল হক দেওয়ান, সাংগঠনিক সম্পাদক হেলাল উদ্দিন সুমন, শহিদুল্যাহ কিরন, ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ রাসেল মিয়া প্রমূখ।
এছাড়াও তফসিল ঘোষনার পর বিভিন্ন সময়ে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পত্র দাখিলকৃতরা হলেন, ইসলামী শাসনতন্ত্রের নুরুল আলম (হাতপাখা), সতন্ত্র প্রার্থী হাসান ওবায়েদুর রহমান, আমেনা বেগম
ঝর্ণা, জাকির হেসেন, মোঃ ইব্রাহিম নিরব, শাহদাত হোসেন পাটওয়ারী, একেএম ফিরোজ সিকদার, মোঃ শামছুদ্দিন, কাইউম হাওলাদার।
সাধারন সদস্য পদে ৫২ জন এবং সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ১১ জন মনোনয়ন দাখিল করেছেন।
বিশ্বস্ত সুত্রে জানা গেছে, বিএনপি এই নির্বাচনে কোন প্রার্থী মনোনয়ন না দিলেও দল সমর্থিত প্রায় হাফ ডজন নেতা চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন।
এরা হলেন, সাবেক ছাত্রদল নেতা ও এই ইউপির প্রয়াত চেয়াম্যান হাসান মাসুদ বাবুলের ভাই হাসান ওবায়েদুর রহমান, সোনাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাকির হেসেন, থানা বিএনপির
সাংগঠানিক সম্পাদক শাহদাত হোসেন পাটওয়ারী, উপজেলা যুবদল নেতা একেএম ফিরোজ সিকদার ও মোঃ ইব্রাহিম নিরব, সোনাপুর বিএনপি নেতা কাইউম হাওলাদার।
এরা সকলেই বিএনপি দলীয় নেতা-কর্মিদের পক্ষে নিতে তৎপর হলেও দলীয় কোন সিদ্বান্ত নেই বলেই জানা গেছে। উল্লেখ্য, আগামী ২৬শে ডিসেম্বর সোনাপুর ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিল ২৫শে নভেম্বর, বাছাই ২৯শে নভেম্বর, আপিল ৩০শে থেকে ২রা ডিসেম্বর, আপিল নিষ্পত্তি ৩রা থেকে ৫ই ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ৬ই ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্ধ ৭ই ডিসেম্বর।