মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া-সুনামগঞ্জে পৃথক ঘটনায় আহত এক বৃদ্ধ কৃষক ও মানসিক ভারসাম্যহীন এক গৃহবধুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
মৃতরা হলেন- জেলার ধর্মপাশা উপজেলার দক্ষিণ সুখাইড়-রাজাপুর ইউনিয়নের রংপুর হাটি গ্রামের হুমায়ুন মিয়ার স্ত্রী মানসিক ভারসাম্যহীন চাঁদনী আক্তার (২১) ও দোয়ারাবাজার উপজেলার মান্নারগাঁও ইউনিয়নের জালালপুর গ্রামের মৃত মেহের বখতের ছেলে বৃদ্ধ কষক নজির হোসেন (৬০)।
আজ সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বৃদ্ধ নজির হোসেনের মৃত্যুর পর পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। অন্যদিকে গৃহবধু চাঁদনী আক্তার মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ার কারণে ময়না তদন্ত করা হয়নি বলে জানা গেছে।
এব্যাপারে পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে- গতকাল রবিবার (১২ ডিসেম্বের) সন্ধ্যায় জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার মান্নারগাঁও গ্রামের মদরিছ মিয়ার গরু পাশ্র্¦বর্তী জালালপুর গ্রামের বৃদ্ধ কৃষক নজির হোসেনের জমির পাকা ধান খেয়ে ফেলে।
এঘটনার প্রেক্ষিতে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতি হয়। আর এই ঘটনাটি উপস্থিত গন্যমান্য ব্যক্তিরা তাৎক্ষনিক ভাবে সমাধানও করে দেন।
কিন্তু তারই জের ওই দুই ব্যক্তির পক্ষ নিয়ে দুই গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
কিন্তু ওই সংঘর্ষে বৃদ্ধ কৃষক নজির হোসেন গুরুতর আহত হলে প্রথমে তাকে সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতাল, পরে রাতেই সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।
এবং আজ সোমবার (১৩ ডিসেম্ভর) সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহত বৃদ্ধ কৃষক নজির হোসেনের মৃত্যু হয়। এঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ২জনকে গ্রেফতার করে।
অন্যদিকে গত রবিবার সন্ধ্যায় ধর্মপাশা উপজেলার রংপুর হাটি গ্রামে অবস্থিত নিজ বসতঘরের ধরনার মাঝে গলায় ওরনা পেচানো অবস্থায় মানসিক ভারসাম্যহীন গৃহবধু চাঁদনী আক্তারের মৃতদেহ ঝুলতে দেখে এলাকার লোকজন থানায় খবর দিলে পুলিশ প্রথমে লাশ উদ্ধার করে।
পরে ময়না তদন্ত ছাড়াই ওই মানসিক গৃহবধুর লাশ তার পরিবারের নিকট হস্থান্তর করা হয়। কিন্তু ওই মানসিক ভারসাম্যহীন গৃহবধু চাঁদনী আক্তার কি নিজে গলায় ওরনা পিছেয়ে আত্মহত্যা করেছে, নাকি কেউ তাকে তাকে হত্যা করে ঝুলিয়ে দিয়ে তা জানা যায়নি।
মানসিক ভারসাম্যহীন গৃহবধু চাঁদনী আক্তারের রহস্যজনক মৃত্যুর বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর থেকে পরো উপজেলা জুড়ে আলোচনা ও সমালোচনার ব্যাপক ঝড় উঠে। ধর্মপাশা থানার ওসি
খালেদ চৌধুরী ও দোয়ারাবাজার থানার ওসি দেবদুলাল ধর সাংবাদিকদের পৃথক ঘটনায় গৃহবধু ও বৃদ্ধ কৃষকের মৃত্যুর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।