মোহাম্মদ দুদু মল্লিক, শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের আয়নাপুর গ্রামের ভূ‚মিহীন হাবিবুর রহমান তার বাড়ীর পার্শ্ববর্তী আহাছান উল্লাহর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।
হাবিবুর রহমান জানান, আমার কোন জমি জমা না থাকায় সরকারের নিকট ভূ‚মিহীন হিসাবে আবেদন করিলে, আয়নাপুর মৌজার বি.আর.এস ১নং খতিয়ান ভুক্ত ১০৯ নং দাগে .২৬ শতাংশ ও
১৭৩ নং দাগে .১৮ শতাংশ, দুই দাগে মোট .৪৪ শতাংশ জমি আমাকে বন্দোবস্ত দেয়।
বন্দোবস্ত মোকদ্দমা নং- ৪১৬ (১১)৯৯-২০০০/১১৩ (১১)৯৯-২০০০ বলে ০৩/১০/২০০০ ইং তারিখে ঝিনাইগাতী এস.আর অফিসের ৩৭২৮ এক খন্ড কবুলিয়ত দলিল মূলে আমি মালিক হই।
মালিক হওয়ার পর উক্ত জমি আমার নামে জমা নাম খারিজ করিয়াছি, খারিজ খতিয়ান নং- ২২২।
ধানশাইল ভ‚মি অফিসের তৎকালীন তহশীলদার, সার্ভে আমিন দ্বারা মাপ করে আমাকে জমি বুঝাইয়া দেয়।
ইহার পর হইতে আমি উক্ত জমির এক পাশে বসত বাড়ী করে ভোগ দখলকার থাকা অবস্থায়, আহাছান উল্লাহ গংরা প্রভাবশালী হওয়াই আমার উক্ত .৪৪ শতাংশ জমির মধ্যে .২৫ শতাংশ জমি
গায়ের জোরে জবর দখল করে নেয়। আমি বাধা দিতে গেলে আহাছান উল্লাহ গংরা আমাকে মার পিট খুন জখম করিতে আসে, তাদের ভয়ে জমিতে যাওয়ার সাহস পাচ্ছিনা।
আমি উক্ত জমির বিষয়ে এলাকায় একাধিকবার শালিশদরবার করিয়াছি কিন্তুআহাছান উল্লাহ গংরা এলাকার শালিশ দরবার মানে না।
বর্তমান আমি ওই জমিতে গেলে দাঙ্গা হাঙ্গামা শান্তিভঙ্গের কারণ কিংবা আইন শৃঙ্খলার চরম অবনতি হইতে পারে।
গত ১৯ ডিসেম্বর ২০২১ ইং তারিখে আহাছান উল্লাহ গংরা জোরপূর্বক আমার লাগানো একটি গাছ কেটে নিয়ে যায়। যাহার আনুমানিক বাজার মূল্য ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা।
এছাড়াও প্রতিদিনই আমার বাঁশের ঝাড় থেকে বাঁশ কাটিয়া নেয়। সুপারি গাছ থেকে সুপারি নেয়। উক্ত বাঁশ ও সুপারি বিক্রি করিয়া পরিবার পরিজন নিয়া জীবিকা নির্বাহ করি। তিনি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।