মোঃ জাহাঙ্গীর আলম,নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনীতে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব-১১ এক অভিযান চালিয়ে মোঃ সাদ্দাস হোসেন (২৮) নামের এক ভুয়া মেডিসিন, শিশু ও চক্ষু রোগী ডাক্তারকে গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতারকৃত মোঃ সাদ্দাস হোসেন সুবর্ণচর উপজেলার ৫নং চর জুবলী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চরবাগ্যা গ্রামের খলিল মিয়ার নুতন বাড়ির মোঃ খলিল উল্যার ছেলে।
এর আগে গতকাল বুধবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুর ৩টার দিকে বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার ১নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর নাজিরপুর গ্রামের কাজী বাড়ির একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে র্যাব।
এ সময় র্যাব তার হেফাজত থেকে ১ টি স্টেথোস্কোপ, ১ টি সাদা কাগজের বাক্সে ১০ টি চশমা, ১ টি আইডি কার্ড, রোগি দেখার ভুয়া প্রেসকিপশন, ২ টি ভুয়া ভিজিটিং কার্ড, সাংকেতিক চিহ্ন সম্বলিত
চোখের দৃষ্টি পরীক্ষার ১ টি ভিশন কার্ড, ১ টি ভুয়া চিকিৎসা প্যাড, ২ টি সীম যুক্ত ১টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) সকালে গ্রেফতারকৃত আসামিকে নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রট আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন র্যাব-১১,সিপিসি-৩ নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার মোঃ শামীম হোসেন।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়,একাডেমী সার্টিফিকেট ধারী কিংবা নিবন্ধনকৃত ডাক্তার বা সার্জন না হয়েও নিজেকে ডাক্তার বা সার্জন পরিচয়ে মেডিসিন, শিশু ও চক্ষু রোগী দেখার অপরাধে (ভুয়া
ডাক্তার) সাদ্দামকে গ্রেফতার করা হয়। আসামিকে প্রাথমিক ভাবে জিজ্ঞাসাবাদে, একাডেমী সার্টিফিকেটধারী কিংবা নিবন্ধনকৃত ডাক্তার বা সার্জন না হয়েও নিজেকে ডাক্তার বা সার্জন হিসেবে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে রোগীদের কাছ থেকে প্রতারণমূলক ভাবে টাকা গ্রহণ করে আসছে বলে স্বীকার করে।
বেগমগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি জানান,গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে গ্রেফতারকৃত আসামিকে নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরণ করা হয়।