মোহাম্মদ দুদু মল্লিক, শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতীতে ঋণ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকের টাকা নিয়ে উধাও হয়েছে “সহায়ক সংঘ ঝিনাইগাতী” নামের ভুয়া একটি এনজিও।
উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের মানুষকে ভুল বুঝিয়ে ঋণ দেওয়ার নামে প্রতারণা করে গ্রাহকের কাছ থেকে প্রায় ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে যায় সংস্থাটি।
সংস্থাটি স্থানীয় মানুষের বিশ্বাসের জন্য ঝিনাইগাতী বাজারের কাঠ হাটিতে স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুল হালিমের বাসায় অফিস খুলে।
গত ২০ জানুয়ারী ২০২২ ইং তারিখ বৃহস্পতিবার গ্রাহকরা ঋণ নিতে হালিমের বাড়িতে এসে ভুয়া এনজিওর অফিসটি তালাবন্ধ দেখেন। এ সময় ভুক্তভোগী গ্রাহকরা সেখানে অবস্থান নেন।
প্রতারণার শিকার গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রায় তিন মাস যাবত “সহায়ক সংঘ ঝিনাইগাতী” নামের একটি ভুয়া এনজিওর কয়েকজন মাঠকর্মী ঋণ দেওয়ার নামে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে প্রচারণা শুরু করেন।
ওই এনজিওর মালিক ও পরিচালক আল হারুন এবং সহকারী পরিচালক আব্দুল মালেক (হোমিও ডাক্তার) আগ্রহী গ্রাহকদের কাছ থেকে অগ্রিম সঞ্চয় বাবদ ১০ হাজার ও ফরম বাবদ ভর্তি ফি দুইশত টাকা করে উত্তোলন করে ,
এভাবে ৫ শত গ্রাহকের কাছ থেকে প্রায় ১০ লাখ টাকা সংগ্রহ করে সংস্থাটি। গত বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে ঋণ দেওয়ার দিন ধার্য করে সংস্থাটি।
ওই দিন দুপুরে বিভিন্ন গ্রাম থেকে আসা ঋণগ্রহীতারা এনজিওর দেওয়া ঠিকানা ব্যবসায়ী হালিমের বাসায় গিয়ে দেখতে পান অফিস ঘরটি তালাবদ্ধ।
পরে গ্রাহকরা ওই ভুয়া সংগঠনের পরিচালক আল হারুন ও সহকারী পরিচালক আব্দুল মালেক (হোমিও ডাক্তার) এর বাড়ী ঝিনাইগাতী উপজেলার উত্তর দাড়িয়ারপাড় ও ফুলহারী গ্রামে চলে যায়। সেখানে গিয়ে তাদেরকে বাড়ীতে পায়নি। ]
ওই দুই পরিচালকের অভিভাবকরা জানায়, তারা ঢাকায় পালিয়েছে। ভুক্তভোগী গ্রাহকরা এখন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের দারে দারে ঘুরে বেড়াচ্ছে। একটি সূত্র জানায়, ঝিনাইগাতী উপজেলার দাড়িয়ারপাড় গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে আল হারুন নিজেকে ঝিনাইগাতী
উপজেলার কবি সংঘের সাধারণ সম্পাদক, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পরিশোধের সভাপতিসহ বিভিন্ন পদ পদবি পরিচয় দিয়ে ইতিপূর্বেও এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন। তার রয়েছে বিভিন্ন স্তরের লোকের সাথে সম্পর্ক। ভুক্তভোগী গ্রাহকরা সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে এর প্রতিকার চেয়েছেন।