ভূরুঙ্গামারী উপজেলার সোনাহাটে “প্রাচীণ শ্যামা কালী মন্দিরে” মরা গরুর হাড় নিয়ে তান্ত্রিক পুজা করতে বাঁধা দেয়ার ঘটনায় ওই মন্দিরের পুরোহিতকে পিটিয়ে আহত করে মাদক ব্যবসায়ী সুমন (২৭)। পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে অভিযুক্ত সুমনকে গ্রেপ্তার করেছে।
জানাগেছে,উপজেলার বানুরকুটি গ্রামে সোনাহাট প্রাচীণ শ্যামাকালী মন্দিরে একই গ্রামের ইয়াবা ব্যবসায়ী সুমন মিয়া গত ২৪ জানুয়ারী দুপুর দেরটার দিকে মরা গরুর হাড় নিয়ে এসে তথাকথিত
তান্ত্রিক পুজা করবে বলে জানায়। এ-সময় মন্দিরের পুরোহিতের স্ত্রী শ্রীমতি তৃষ্ণা রানী(৩৮)সহ কয়েকজন মহিলা তাকে বাঁধা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মাদক ব্যাবসায়ী সুমন তাদের ধর্মনিয়ে অশালীন ভাষায় গালাগাল দেয় এবং বিভিন্ন প্রকার হুমকি দিয়ে চলে যায়।
পরবর্তীতে পুরোহিত সুবল চন্দ্র বাসায় এলে তার স্ত্রী তৃষ্ণারাণী বিষয়টি তাকে অবহিত করেন। ঘটনা জানার পর পুরোহিত স্থানীয় কয়েক জনকে বিষয়টি জানান।
এরই জের ধরে ওই মন্দিরের পুরোহিতকে গত ২৮ জানুয়ারি সন্ধ্যায় মাদ্রাসা মোড় এলাকায় একা পেয়ে লোহার রড দিয়ে আঘাত করে মারাত্মক আহত করে সুমন।
অসহায় পুরোহিত সুবল চন্দ্র পরদিন ২৯ জানুয়ারী থানায় এ সংক্রান্ত অভিযোগ দিলে রাতেই পুলিশ তাকে আটক করে। এসময় সুমনের কাছ থেকে গাজা সেবনের কল্কি ও গাজা উদ্ধার করে পুলিশ।
অনুসন্ধানে জানা যায়, সুমন ও তার পিতা দীর্ঘদিন ধরে সোনাহাট স্থলবন্দর এলাকায় বিভিন্ন মাদক বিক্রি শুরু করলে ঐ মন্দির এলাকায় মাদকসেবিদের আড্ডা বসে।
এ অবস্থায় পুরোহিত সুমনকে মন্দির এলাকায় মাদক বেচাকেনায় নিষেধ দিলে সুমন তাকে দেখে নিবে বলে হুমকি-ধামকি দিত। এক পর্যায়ে সুমন ও তার লোকজন পুরোহিতের ঘরের দরজায় মদের বোতল রেখে যায়।
এ সংক্রান্ত একটি মামলা হলে পুলিশ ঐসময় সুমন ও তার এক সহযোগীকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠায়। সুমন জেল থেকে জামিনে বেরিয়ে আসার পর সংখ্যালঘু
পরিবারটিকে নানা ভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে থাকে। এমনকি মামলা তুলে না নিলে তাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
উল্লেখ্য গ্রেপ্তারকৃত সুমনের বিরুদ্ধে মাদক,সন্ত্রাস ও জমি দখলের প্রায় ডজনখানেক মামলা চলমান রয়েছে। সে সোনাহাট স্থলবন্দর এলাকার ভুমি দস্যু ও মাদক ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান মিজুর ভাতিজা।
ভুরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আলমগীর হোসেন গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেফতারকৃত সুমনকে বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে। #