কুড়িগ্রামে হিমাগার মালিকগণ হঠাৎ করে আলুর বস্তা সংরক্ষণে মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে জেলা আলু চাষী ও আলু ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি।
রবিবার সকালে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার কাঁঠালবাড়ী বাজারে সড়ক অবরোধ করে ঘন্টাব্যাপী মানবন্ধন করা হয়। পরে কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বরাবর একটি স্মারকলিপি হস্তান্তর করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন জেলা আলু চাষী ও আলু ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম দুলাল, আহবায়ক আইয়ুব আলী ব্যাপারী, রংপুর বিভাগীয় কমিটির যুগ্ম আহবায়ক শাহ আলম মোস্তফা প্রমুখ।
স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, এর আগে ৬৫ কেজির বস্তার মূল্য নির্ধারণ করা ছিল ২৬০ টাকা। এবারে কোল্ড ষ্টোরেজ এসোসিয়েশন ও রংপুর বিভাগীয় এসোসিয়েশন কর্তক বস্তায় ১৫ কেজি আলু
কমিয়ে ৫০ কেজি বস্তার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২৬০ টাকা। প্রতি কেজি আলুর মূল্য পূর্বে ৪ টাকা ছিল। এবার প্রতি কেজির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ টাকা ২০ পয়সা। আলু চাষী ও আলু
ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির দাবী প্রতি কেজি আলুর ভাড়া ১টাকা কমিয়ে ৩ টাকায় নির্ধারণ করা হোক।
আলু ব্যবসায়ী সমিতির আহবায়ক আইয়ুব আলী ব্যাপারী জানান, রাজশাহী, বগুড়া, জয়পুরহাটসহ অন্যান্য জেলায় ৬৫-৭০ কেজি আলুর বস্তা সংরক্ষণের বিপরীতে ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা সর্বোচ্চ
ভাড়া আদায় করলেও হঠাৎ করে আমাদের কুড়িগ্রাম জেলায় ভাড়া বৃদ্ধি করায় কৃষকরা শুধুমাত্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে না; তারা আলু চাষে নিরুৎসাহিত হবে পরবে।
আলু ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম দুলাল জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ বিরুপ আবহাওয়ার কারণে কুড়িগ্রামের আলু চাষীরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হলেও উল্টো ভাড়া বৃদ্ধি করায়
বিপাকে পরেছে তারা। তাদের দাবী চাষীদের ক্ষতির দিক বিবেচনা করে হিমাগারে বস্তা সংরক্ষণে প্রতি কেজি আলুর ভাড়া ৩ টাকা নির্ধারণ করা হোক।