রতন মিয়া.বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ যে দিকেই তাকানো যায় সে দিকেই পানি আর পানি। প্রতি বছরেই বন্যার কবলে পড়তে হয়। বন্যায় ভেঙ্গে যায় অনেক বাঁধ ডুবে যায় মানুষের ঘরবাড়ি , ফসলী জমি।
আর সেই বন্যা থেকে রক্ষার্তেই বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড নদী নালা খাল বিলের ডুবন্ত বাঁধের ভাঙ্গন বন্ধকরণ ও মেরামত কাজ করছেন। এতে বেঁচে যায় কৃষকদের ফসল, মাছে বৃদ্ধি, নাব্যতা বজায় থাকে ইত্যাদি।
সারা দেশের ন্যায় নেত্রকোণা জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষি ফসল, নদী নালা ভরাট হয়ে মাছ বৃদ্ধিতে ও ব্যাহত হয়ে থাকে।
তাই আগামী বছরের বন্যার জন্য আগাম প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তার মধ্যে এগুলোর বাস্তবায়ন হলে নদী ভাঙনের ভয়াবহতা সহনীয় পর্যায়ে আসবে।’
২০২১-২২ এ.অর্থ বছরের নেত্রকোণার বিভিন্ন উপজেলায় বেড়ি বাঁধের উন্নয়নে ১৭০ পিআইসির মধ্যে ৩১ কোটি ১২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে সংস্কারের কার্যক্রম চলছে।এর মধ্যে প্রায় ১১ কোটি টাকা বিরতণ করা হয়েছে .এ অর্থ বছরের মাটি কাটার কাজ শুরু ১৫-১২-২০২১ এবং শেষ ২৮-০২-২০২২।
এ বছর নেত্রকোণার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বেশ কিছু বেড়ি বাঁধ সংস্কার প্রকল্প কার্যক্রম করেছে । প্রতি বছরের ন্যায় এসব প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত হলে নেত্রকোণা ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ আগামীতে বন্যা থেকে
রক্ষা পাবে। এলাকার নদী ভাঙ্গনের ভয়াবহতা কমবে। বড় নদীগুলো ড্রেজিং করে পানি প্রবাহ স্বাভাবিক রাখা হবে।’
মোহনগঞ্জ ও মদন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাগণ জানান,সরেজমিনে পরিদর্শন করেন এবং পিআইসির সভাপতিরা সুন্দর ভাবেই কাজ করেছে এবং বেড়িবাঁধের কাজ দ্রতগতিতেই হচ্ছে, এ পর্যন্ত ৮০% কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে বাকি কাজ খুব কম সময়েই শেষ হয়ে যাবে বলেও জানান ।
নেত্রকোণা পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো.এম এল সৈকত,নেত্রকোণায় ৮০% কাজ সম্পন্ন হয়েছে, তবে এখনো কিছু কাজ বাকি আছে যেমন, ড্রেজিং ও ঘাস লাগানোর বাকি তা চলমান আছে।