প্রায় পাঁচ মাস পর ছাত্রলীগের কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সব সাংগঠনিক কার্যক্রমের উপর থাকা স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেছে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ।
বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
শুক্রবার আনুষ্ঠানিক ভাবে ছাত্রলীগ কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ২০২১ সালে ১৯ নভেম্বর শৃঙ্খলাপরিপন্থী কার্যকলাপের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ছাত্রলীগের কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সব সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ।
সে সময় বিজ্ঞপ্তিতে ছাত্রলীগের কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সভাপতি রাজু আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনকে কেন ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হবে না; তার উপযুক্ত কারণসহ
লিখিত জবাব সাত কার্যদিবসের মধ্যে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে কেন্দ্রীয় দপ্তর সেলে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
এই নির্দেশনার পাঁচ মাস পর বৃহস্পতিবার রাতে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হলো মর্মে খবর ছড়িয়ে পড়লে ছাত্রলীগ নেতা কর্মীদের মধ্যে আনন্দ উল্লাস দেখা যায়। রাতে ছাত্রলীগ কর্মীরা মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা বের করে।
উল্লেখ্য, গত ১১ অক্টোবর রাতে কুড়িগ্রাম সার্কিট হাউস প্রাঙ্গণে জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় অংশ নিতে আসা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক
সাখাওয়াত হোসেন শফিকের সামনে স্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে জেলা আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই সংঘর্ষে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম
সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর রহমান ও ছাত্রলীগের সভাপতি রাজু আহমেদ সহ উভয় পক্ষে নেতাকর্মীরা আহত হন।
এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগ র্যাজুলেশন করে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যাবস্থা নিতে কেন্দ্রে অবহিত করেন। একই সঙ্গে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে আসামী
করে সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ এনে সদর থানায় মামলা দেয়া হয়। এ মামলায় সবাই কুড়িগ্রাম চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে জামিনে আছেন।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ দেয় সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ।