কুড়িগ্রামের উলিপুরে ইট ভাটার ঝাঝালো ধোয়ায় ঝলছে গেছে কৃষকের প্রায় ৬০ একর জমির বোরো ধানের ক্ষেত। এমন ক্ষতির ঘটনাটি ঘটেছে গুনাইগাছ ইউনিয়নের নেফড়া গ্রামে।
ধানের শীষ ঝলসে গিয়ে পাকা রং ধারন করেছে। ক্ষতিপুরনের আশায় ঘুরছে কৃষক। স্থানীয়রা বলছে, এই ভাটার দ্বারা এমন ঘটনা এই প্রথম নয় আরো অনেক বারই এমন ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনার পর থেকে ইট ভাটাটি সুনশান হয়ে পড়েছে। গত বুধবার (২০ এপ্রিল) সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, স্থানীয় জন মানুষের বিভিন্ন অভিযোগের কারনে ইট ভাটাটি বন্ধ ছিলো, এরপর
একটি প্রভাবশালী মহল প্রকৃত মালিক পক্ষের সাথে চুক্তি করে নতুন করে চালু করে ভাটাটি। বর্তমানে ভাটার দ্বিতীয় পক্ষ মালিকের নাম লাঞ্জু ও রুবেল।
এক সপ্তাহ আগে হঠাতই ইট ভাটার মালিক শ্রমিকদের অপরিকল্পিতভাবে চিমনীর আগুন নেভানোর নির্দেশ দেয়। শ্রমিকরা তাদের কথামত পূর্ব সিদ্ধান্ত মোতাবেক চিমনীতে পানি ও
বাতাস নিক্ষেপ করে আগুন নেভানোর চেষ্টা করলে চিমনীর সেই আগুন বাতাসের সাথে মিশে কৃষকের ধানের জমির উপর দিয়ে বইতে থাকে।
এতে করে ওই গরম বাতাসে ঝলছে যায় প্রায় ৬০ একর জমির বোরো ধান ক্ষেত। ঝলসে যাওয়া ক্ষেতগুলো দিয়ে ধানের শীষ পোড়ার গন্ধ নাকে ভেসে আসছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন জানান, ইট ভাটাটির লাইসেন্স নাই এবং বন্ধও ছিলো বহুদিন, মোটা অংকের টাকার চুক্তির বিনিময়ে প্রভাবশালীরা ভাটাটি চালু করেছে।
ঝলসে যাওয়া ধান ক্ষেতের মালিক কান্ত বর্মন জানান, দিনের বেলাও ধান ক্ষেত ছিলো, ঘুম থেকে জাগনা পেয়ে দেখি ধানের ক্ষেত পুড়ে গেছে।
তিনি আরো জানান, কিস্তির টাকা ও ধার দেনা করে ৪২ শতক ধান আবাদ করেছি আমার বড় সর্বনাশ হয়েছে। একই কথা জানালেন, কৃষক আব্দুল মজিদ, তাজুল, ফনি, নুরজামাল ও কৃষাণী নুরজাহান।
এ কে এম ব্রিকস এর প্রকৃত মালিক আবু কালাম মন্ডলের সাথে মুঠো ফোনে একাধিকবার কথা বলার চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায় নি।
ভাটাটির চুক্তিবদ্ধ মালিক লাঞ্জুর সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমি এ বিষয়ে তেমন কিছু বলতে চাই না আমার আরেক জন পার্টনার আছে তার সাথে কথা বলেন।
লাঞ্জুর পার্টনার রুবেলের সাথে কথা হলে তিনি জানান, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের সাথে কথা হচ্ছে দ্রুতই কৃষকের ক্ষতিপুরণ দিব।
উপজেলা কৃষি অফিসার সাইফুল ইসলাম বলেন, এখন পর্যন্ত কেউই বিষয়টি জানায়নি জানতে পারলে কৃষকের স্বার্থে যে ব্যবস্থা নেয়া দরকার সেটিই নিবো।