মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, নোয়াখালীর সেনবাগে রান্না করার চুলোর আগুরে পুঁেড় জীবন্ত দগ্ধ হয়ে আবদুল্লাহ আল নোমান (৬) লামিয়া সুলতানা মাহি ( ৩) নামের আপন সহোদর ভাই-বোন মারা
গেছে । ঘটনাটি মঙ্গলবার (১০ মে) দুপুর ১২ টার দিকে সেনবাগ উপজেলার ৮নং বিজবাগ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড বীর নারায়ণপুর গ্রামের আহম্দ আলী বেপারী বাড়িতে।
তারা দুইজন ওই বাড়ির হোটেল কর্মচারী মোঃ ইকবাল হোসেনের ছেলে মেয়ে। দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় পরিবারসহ পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
খবর পেয়ে সাথে সাথে ঘটনাস্থলে ছুটে যান স্থানীয় বিজবাগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিম উদ্দিন কাজল, ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম, সেনবাগ থানার এসআই আবদুলর
আউয়াল,আব্দুল হান্নান, মাহবুবুল আলম শিমুল, ফয়েজ উল্লাাহ ভূঁইয়া মিস্টার মেম্বার। নিহতের মা গোলাপী বেগম জানান, দুপুরে রান্ন বান্না শেষে দুই সন্তান নোমান ও মাহিকে গোসল করিয়ে ঘুম
পাড়িয়ে, তিনি নিজে গোসল ও বাচ্ছাদের কাপড় ধোয়ার জন্য পুকুরে যান। এর মধ্যে রান্না করার চুলার আগুন থেকে অগ্নিকান্ডের সুত্রপাত হলে মুহুর্তের মধ্যে আগুন বসতঘরের মধ্যে ছড়িয়ে
পড়ে। এসময় ঘুমিয়ে থাকা দুই শিশু আবদুল্লাহ আল নোমান ও লামিয়া সুলতান মাহি জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মারা যায়। আগুনের লেলিহান শিখা দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হলেও ততক্ষনে ওই দুই শিশু পুড়ে মারা যায়।
স্থানীয় চেয়ারম্যান সেলিম উদ্দিন কাজল দুই শিশুর দাফন কাপনের জন্য তাৎক্ষনিক শিশুর পিতা ইকবাল হোসেনের হাতে ৫হাজার টাকা তুলে দেন যোগাযোগ করলে সেনবাগ থানার অফিসার
ইনচার্জ (ওসি) ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ না থাকায় ময়না তদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়।