শ্রীনগরের বাড়ৈখালী ইউপির তীর্থ ঘাট এলাকায় রায় বাহাদুর শ্রীনাথ ইন্সটিটিঊশনের শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে গটিত বিরোধে অভিভাবাকদের উভয় পক্ষে মারামারির অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের
করেছেন উভয় পক্ষ।গত শুক্রবার প্রতিবেশি রিপন মদ্যপ অবস্হায় প্রবাসী উত্তম মন্ডলের বাড়িতে তার স্ত্রী রীতা রানি মন্ডল কে গালি গালাজ করতে থাকলে রীতা রানির আপন ভাতিজা ভোলানাথ
মন্ডল এসে তার সাথে তর্কে জড়ালে রিপন তাকে মারধর করেন।শেখরনগর ইউপির ১ নং ওয়ার্ড মেম্বার আসলাম হোসেন লিও ঘটনাস্হলে এসে পরিস্হিতি সামাল দেওয়ার চেস্টাকালে রিপনের
ঘুষি তার শরীরে লাগে বিষয়টি ছড়িলে পড়লে কয়েকজন এসে রিপন কে কিল ঘুষি মারতে থাকেন উদ্ভূত পরিস্হিতি সামাল দিতে লিও তাকে তার ঘরে পৌছে দেওয়ার চেস্টা কালে লোহার গ্রীলের
সাথে লেগে রিপনের মাথা ফেটে যায় বলে দাবি লিও মেম্বারের।এ দিকে রিতা রানী মন্ডলের বাড়িতে অনধিকার প্রবেশ পূর্বক মারধরের ঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন উক্ত
অভিযোগটি আমলে না নিয়ে পর দিন রিপনের করা মামলাটি থানা নথিভূক্ত করেন।ঘটনার পর হতে রীতা রানির ১০ শ্রেণী পুড়ুয়া মেয়ে ও এক ছেলে নিয়ে ভয়-ভীতির মধ্যে বাস করছেন বলে
জানা গেছে। এ ব্যপারে রীতা রানি বলেন,রিপন ও তার ভাই ফারুক আমাকে বিভিন্ন সময় কু প্রস্তাব দিয়ে আসছিলো,আমি রাজি না হওয়ায় তারা স্কুলে গটিত বাচ্চাদের বিরোধের জেরে বাড়িতে এসে
আমি ও আমার ছেলে মেয়ে কে লাথি- উস্টা মারতে থাকলে চিৎকার-চেচামেচিতে আমার ভাতিজা ভোলাসহ কয়েকজন মহিলা কে মেরে আহত করেন।ফারুক আমাকে বিভিন্ন সময় মোবাইল ফোনে
টাকা পয়সার প্রলোভনসহ কুপ্রস্তাব দিত।আমার করা অভিযোগটি থানা না নিয়ে উল্টো পর দিন তাদের করা অভিযোগটি গ্রহন করেন। আমি ও আমার মেয়েকে মারলো এটার বিচার করবে কে!
দারগা কে শতাধিক কল করার পরও ফোন ধরেন নি,স্হানীয় মেম্বারও আসেন নি। এক দিকে মার খেলাম অন্য দিকে আমাদের যারা তাদের হতে রক্ষা করলো তাদের বিরুদ্ধে মামলা নিল।আসলাম
হোসেন লিও বলেন, শিবরামপুর হাটে গরু ক্রয় করতে যাওয়ার পথে থেমে তাদের নির্বৃত্ত করার চেস্টা করলে উল্টো তারা আমাকে মারতে চেস্টা চালায়, তার পরও আমি ধৈর্য্য সহকারে পরিস্হিতি
স্বাভাবিক হলে উভয় পক্ষ বসে সমাধানের কথা বলে চলে যাই,পর দিন জানলাম আমাকে আসামী করে মামলা করা হয়েছে, আমি এটার সুষ্ঠ বিচার দাবি করছি।
রিপন কুপ্রস্তাবের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন,আমি প্রবাসী এমন অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা,আপনারা খোজ নিয়ে দেখতে পারেন।রিপনের বড় ভাই ফারুক তার বিরুদ্ধে করা কুপ্রস্তাবের
বিষয়টি অস্বীকার করেন এবং তার বিরুদ্ধে পূর্বে ধর্ষণ চেস্টার অভিযোগকারিনীর মা কে দিয়ে এর সত্যতা প্রমাণের চেস্টা চালান। শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আমিনুল ইসলাম বলেন,
রিপনের মামলাটি গ্রহন করা হয়েছে, রীতা রানীর বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্হা গ্রহন করা হবে।