কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের মজারটারী গ্রামে মোছাঃ জোছনা বেগম (৪৫) নামে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার বিকেলে ওই গৃহবধূর স্বামী মোঃ আইয়ুব আলী বাদী হয়ে চিলমারী মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
বুধবার ভোরে উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের মজারটারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মোঃ কাইয়ুম আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বুধবার ফজরের নামাজ শেষে ওই গৃহবধূর স্বামী দ্বিতীয় ছেলে সহ নদীর পাড়ে জমি দেখতে যায়। পাঁচ সন্তানের মধ্যে শারীরিক ও মানষিক প্রতিবন্ধী বড় ছেলে, ছোট ছেলে
ও দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ুয়া ছোট মেয়েকে নিয়ে শ্রবণ প্রতিবন্ধী ওই গৃহবধূ ঘুমিয়েই থাকেন। ঘরের দরজা খোলা পেয়ে সকাল হওয়ার পুর্বেই প্রতিবেশী গোলজার হোসেনের ছেলে রিয়াজুল ইসলাম (৩৫) সুযোগ বুঝে ওই গৃহবধূর শয়ন ঘরে ঢুকে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করেন। শ্রবণ
প্রতিবন্ধী গৃহবধূ টের পেয়ে ধস্তাধস্তি করে বাঁচার চেষ্টা করলে রিয়াজুল জোসনা বেগমের গলা টিপে ধরে। এ সময় ঘরে ঘুমিয়ে থাকা প্রতি বন্ধী বড় ছেলে ও মেয়ে টের পেয়ে মাকে উদ্ধার করতে গেলে
তাদেরকেও বেধড়ক মারপিট করে রিয়াজুল। পরে গৃহবধূ ও তার সন্তানরা চিৎকার করলে রিয়াজুলের ভাই সোলায়মান দা নিয়ে এসে ভিক্টিম জোসনাকে মুখ খুলতে নিষেধ করে এবং কথা না
শোনায় দা দিয়ে জোসনার ডান হাতের কনুইয়ের নিচে কোপ দেয় এবং রিয়াজুলের অপর ভাই লুৎফর রহমান রহমান এসে লোহার রড দিয়ে গৃহবধূর চোখে, মুখে, বাম হাত ও পায়ে মেরে ফুলা কালো জখম করে এসময় তার সন্তানদেরকেও বেধড়ক মাইর মারে।
এ ব্যাপারে রানীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, ঘটনা শুনেছি ভিক্টিম খুবই অসুস্থ থাকায় চিকিৎসার জন্য দ্রুত চিলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছি, ভিক্টিমকে আইনি সহায়তা দেয়ার জন্য আমরা সব ধরনের চেষ্টা থাকবে।
এ ব্যাপারে চিলমারী মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) প্রাণকৃষ্ণ দেবনাথ বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’