কুড়িগ্রামের রৌমারী সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের বিরুদ্ধে খাদ্যবান্ধব ভিজিডি কর্মসূচীর আওতাভুক্ত সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে অবৈধভাবে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এঘটনায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। অভিযোগ রয়েছে, টাকা না দিলে চাল ও কার্ড আটকে রাখে সংশ্লিষ্টরা।
ভুক্তভোগীরা বলেন, করোনাকালীন সময়ে তদের হাতে কোনো টাকা পয়সা না থাকলেও ভিজিডির চাল নিতে ৩০টাকা করে দিতে বাধ্য করে সংশ্লিষ্ঠ ইউনিয়ন পরিষদ কতৃপক্ষ। টাকা দিলে চাল দেয় আর না দিলে চৌকিদার (গ্রাম পুলিশ) কার্ড ও চাল আটকে রাখে।
রৌমারী উপজেলার সদর ইউনিয়নে মোট ৭৪৪ জন ভিজিডি সুবিধাভোগী রয়েছেন। প্রতিজন সুবিধাভোগীর কাছ থেকে প্রতি মাসে চাল বিতরণকালে জনপ্রতি ৩০টাকা করে নিলে প্রতি মাসে মোট ২২হাজার ৩২০টাকা আদায় করে নেয় ইউনিয়ন পরিষদ। যদি কেউ নির্ধারিত টাকা দিতে না পারে তাহলে তার চাল ও কার্ড আটকে রাখা হয়।
রৌমারী সদর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব সহদেব কুমার সিংহ জানান, ইউনিয়ন পরিষদে যোগদানের করে দেখি এভাবেই টাকা আদায় করা হয়।
রৌমারী সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের সংস্কার কাজ, পরিবহণ ও চা চক্রের খরচ বাবদ ১০টাকা করে নিতে বলা হয়েছে। কিন্তু মেম্বাররা তা না মেনে ৩০টাকা করে নিচ্ছেন। আর টাকা নেওয়া হবে না বলে জানান ইউপি চেয়ারম্যান।
এবিষয়ে রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল ইমরান বলেন, সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার কোনো নিয়ম নেই। এমন আইন পরিপন্থি কাজ করতে চেয়ারম্যানকে নিষেধ করা হয়েছে।