সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর সীমান্ত নদী যাদুকাটা। এই নদীর বালি ও পাথর থেকে প্রতিবছর লক্ষলক্ষ টাকার রাজস্ব পেয়ে থাকে সরকার। কিন্তু স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল সরকারের লক্ষলক্ষ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধ ভাবে বালি ও পাথর বিক্রি করে ইতিমধ্যে হয়েগেছে কোটিপতি। তারপরও থেমে নেই তারা। মহামারী করোনা ভাইসারের জন্য সরকার কর্তৃক বালি ও পাথর উত্তোলন বন্ধ ঘোষনা করার পরও বালি ও পাথর উত্তোলনের জন্য করেছে মানববন্ধন।
আজ মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে যাদুকাটা নদীর পশ্চিমপাড়ে মানববন্ধন করেছে একটি মহল। তারা যাদুকাটা নদী থেকে বালি ও পাথর উত্তোলন করতে চায়। অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন- বালি ও পাথর ব্যবসায়ী কিরণ সর্দার, আব্দুল মোতালিব, বিল্লাল হোসেন, রহিছ মিয়া প্রমুখ।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে- সম্প্রতি যাদুকাটা নদীর তীর কেটে ও অর্ধশতাধিক অবৈধ কোয়ারী তৈরি করে পাথর উত্তোলনের ফটো তুলার কারণে দৈনিক সংবাদ পত্রিকার তাহিরপুর প্রতিনিধি কামাল হোসেনকে গাছে বেঁধে নির্যাতন করে বালি ও পাথর খেকো প্রভাবশালীরা। এঘটনার প্রেক্ষিতে থানায় মামলা হয়েছে। এছাড়া লাউড়গড় বিজিবি ক্যাম্পের সামনে দিয়ে যাদুকাটা নদী পথে লক্ষলক্ষ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে অবাধে কয়লা ও পাথর আনছে বিজিবির সোর্স পরিচয়ধারী আমিনুল ইসলাম, এরশাদ মিয়া, নুরু মিয়া, জসিম মিয়া, রফিক মিয়া (নবীকুল) গং। সম্প্রতি সোর্সদের নেতৃত্বে ভারত থেকে কয়লা আনতে গিয়ে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়। অবৈধ ভাবে কয়লা পাচাঁর নিয়ে চোরাচালানী ও বিজিবির সাথে হয়েছে সংঘর্ষ। এনিয়ে থানায় মামলাও হয়েছে। তারপরও রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে পাথর ও কয়লা আনা বন্ধ হয়নি।
তবে যাদুকাটা নদীর অবৈধ বালি ও পাথর বিক্রিতা কিরণ সদারসহ তার কয়েকজন সহযোগীর বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে জেলহাজতে পাঠিয়েছিল পুলিশ। এছাড়াও যাদুকাটা নদীর তীরে অবৈধভাবে মজুত করে রাখা প্রভাবশালীদের বালি ও পাথর অভিযান চালিয়ে জব্দ করেছে প্রশাসন। তারপরও বন্ধ হয়নি যাদুকাটা নদীর কয়লা, বালি ও পাথর খেকো প্রভাবশালী ব্যক্তিদের তৎপরতা।
সুনামগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ জসিম উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন- গত বছর মামলার কারণে বালু মহাল ইজারা দেওয়া হয়নি। এবার আমরা সব পক্রিয়া সম্পন্ন করেছি। কিন্তু আদালতের আরেকটি আদেশের কারণে এই পক্রিয়া স্থগিত রাখা হয়েছে। তবে ওই আদেশের বিরুদ্ধে সরকার পক্ষ থেকে আপলি করা হবে।