কুড়িগ্রাম মজিদা আদর্শ ডিগ্রি কলেজের ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আতাউর রহমান মিন্টুর হাতের কবজি কর্তনের ঘটনার ২৭দিন পর প্রধান আসামী মেহেদী হাসান বাঁধনসহ ৪জন আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কুড়িগ্রাম পুলিশ লাইন কনফারেন্স কক্ষে সাংবাদিকদের সাথে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরা এই তথ্য প্রদান করেন। এসময় গ্রেপ্তারকৃত হলেন,কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নের শিবরাম গ্রামের মুকুল বকসী পুত্র প্রধান আসামী মেহেদী হাসান বাঁধন, একই ইউনিয়নের তালুক কালোয়া গ্রামের নজরুল ইসলামের পুত্র রশিদ মিয়াকে ঢাকার দক্ষিণ খান এলাকা থেকে এবং কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নের আধগ্রাম খোলারপাড় গ্রামের আব্দুল জলিলের পুত্র মাজহারুল ইসলাম মনোয়ার এবং কুড়িগ্রাম পৌর এলাকার কৃঞ্চপুর বকসীপাড়ার আব্দুল আজিজ দুলালের পুত্র আল আমিন আহম্মেদ শুভকে তাদের নিজ বাড়ী থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আল আমিন আহম্মেদ শুভ বিজ্ঞ আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করায় তাকে জেল হাজতে ইতিমধ্যে প্রেরণ করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরা জানান, আসামীরা ৭/৮বার জায়গা পরিবর্তন করে নিজেদেরকে আত্মগোপন করছিল। বুধবার রাতে এএসপি উৎপল কুমার রায় ও তদন্তকারী অফিসার পবিত্র সরকার তাদেরকে গ্রেফতার করে কুড়িগ্রামে নিয়ে আসে। বাকী আসামীদের গ্রেপ্তারে জোড় প্রচেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, গত ১৬ মার্চ সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আতাউর রহমান মিন্টুকে রাজারহাট উপজেলার ছিনাই এলাকায় আসামীরা পথরোধ করে তার ডান হাতের কব্জী বিচ্ছিন্ন করে ফেলে এবং বামহাত ও দুই পা কুপিয়ে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করে। এ ব্যাপারে ওই দিনেই মিন্টুর পিতা আলতাফ হোসেন আসামী বাঁধনসহ ১১জনের নাম উল্লেখসহ ৪/৫জনকে অজ্ঞাত করে রাজারহাট থানায় একটি মামলা দায়ের করে।