সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর পৃথক ২টি সংঘর্ষের ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। এঘটনায় নারীসহ ৪০জন আহত হয়েছে বলে জানাগেছে। আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় ৩জনকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল ও ২৩জনকে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এঘটনার প্রেক্ষিতে আজ বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) সকাল ৬টায় ২জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা হলো- জেলার তাহিরপুর উপজেলার দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়নের টাকাটুকিয়া গ্রামের মৃত ফালু মিয়ার ছেলে সিরাজ মিয়া (৪৫) ও শহিদ মিয়া (৫০)।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে- গতকাল বুধবার (১৪ এপ্রিল) বিকেলে স্কুলছাত্রীকে উত্যক্ত করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে টাকাটুকিয়া গ্রামে হামলা চালায় স্থানীয় বকাটেরা। এই হামলায় নারীসহ ১৫জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে ৩জনকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল ও ৭জনকে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। আর অন্যান্য আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এঘটনার প্রেক্ষিতে ঘটনার দিনগত রাত ১১টায় টাকাটুকিয়া গ্রামের আহত দেবেন্দ্র বর্মণের ছেলে শ্যামল বর্মন বাদী হয়ে ১৩জনের নাম উল্লেখ করে আরো ১০জনকে অজ্ঞাত আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি দায়েরের পর আজ বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) সিরাজ মিয়া ও শহিদ মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়।
অপরদিকে পূর্ব বিরোধের জের ধরে গতকাল বুধবার (১৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের বালিয়াঘাট গ্রামের ওমর আলী ও আমির আলীর লোকজন দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় ঘন্টাব্যাপী ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনায় দু’পক্ষের ২৫জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় ১৬জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। আর অন্যান্য আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
এব্যাপারে তাহিরপুর থানার ওসি আব্দুল লতিফ তরফদার সাংবাদিকদের বলেন- পৃথক সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযান চালিয়ে ২জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বর্তমানের এলাকার পরিবেশ শান্ত রয়েছে।