মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, নোয়াখালীর সেনবাগে জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ও কাবিলপুর ইউনিয়ন বিএনপির সচিব জহিরুল ইসলাম জহিরের উপর হামলার ঘটনায় সেনবাগ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছেন।
সোমবার মামলাটি দায়ের করেছেন জহিরের ছোট ভাই মনিরুজ্জামান বাহাদুর মামলার আসামি করা হয়েছে জহিরের সুমন্ধী গোলাম নবী রায়হান (৩৮), আনোয়ার হোসেন প্রকাশ সুমন (৪৫)
জহিদুল ইসলাম রিপন(৩৫), সোহাগ (৩০), সোলেমান (৩৮) ও শাহাজাহান(৪০) সহ অজ্ঞাত আরো ৪/৫ জনকে। সেনবাগ থানায় মামলা নং ১২ তারিখ ১৭/১০/২২ ইং।
মামলা দায়েরের পরপরই সেনবাগ থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার ২নং আসামি আনোয়ার হোসেন প্রক্শা সুমন (৪৫)নামের এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃত সুমন সেনবাগ পৌরসভার অজুনতলা গ্রামের আবুল হোসেনেল ছেলে।
এরআগে গত ৮ অক্টোবর বিকেলে সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য ও কাবিলপুর ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম জহিরকে তার সমুন্ধী গোলম নবী রায়হান (৩৮),আনোয়ার হোসেন
প্রক্শা সুমন (৪৫)জহিদুল ইসলাম রিপন(৩৫),সোহাগ(৩০)সোলেমান (৩৮) ও শাহাজাহান(৪০) নেতৃত্বে অজ্ঞাত আরো ৪/৫ জনের একদল সন্ত্রাসী সেনবাগ পৌরসভার ছিলোনিয়া-অজুনতলা
সড়ক থেকে মোটরসাইকেলে গতি রোধ করে একটি সিএনজি যোগে অপহরণ করে তুলে নিয়ে ছাইনিজ কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে ও এলোপাথাড়ী ভাবে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়।
পরবতীতে তাকে আহম্মদপুর-লালপুল ও আহম্মদপুর সংযোগে সড়কের লোহার পোল নামক স্থানে ফেলে দিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে সেনবাগ পরে নোয়াখালী জেনারেল
হাসপাতাল ও সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। দীর্ঘ ৮ দিন অতিবাহিত হলেও সেনবাগ থানা পুলিশ মামলা নেওয়ায় ঘটনায় এলাকাবাসী পক্ষ থেকে রোববার
সকালে সেনবাগের ছমির মুন্সির হাট বাজারে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে এরপর মামলা নিয়ে আসামি গ্রেফতার করে। সোমবার দুপুরে গ্রেফতারকৃত আসামিকেে নোয়াখালী বিচারিক আদালতে প্রেরণ করে।