মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, নোয়াখালীর সেনবাগে শ্বশুড়ের অনৈতিক প্রস্তাবের কথা স্বামীকে বলে দেওয়ায় তাসলিমা আক্তার (১৯) নামের এক সন্তানের জননীকে হত্যা অভিযোগ ওঠেছে শ্বশুড় মাহবুবুল হকসহ পরিবারের বিরুদ্ধে। ওই হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ঘটেছে রোববার দিবাগত রাত সাড়ে
১২টার দিকে সেনবাগ উপজেলার ৪নং কাদরা ইউনিয়নের চাঁদপুর ইউনুস পাটোয়ারী বাড়িতে। খবর পেয়ে সেনবাগ থানা পুলিশ রাতেই ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে এবং গৃহবধূর স্বামী সাইফুল ইসলামকে আটক করে আটক সাইফুল পেশায় সিএনজি অটোচালক। ঘটনার পর
থেকে শ্বশুড় ও শাশুড়ী পলাতক রয়েছে। নিহত তাসলিমা সেনবাগ পৌরসভার ৮নংওয়ার্ডের উত্তর শাহাপুর গ্রামের আবু তাহেরের মেয়ে। তাসলিমার ফাতেমা বেগম নামের ১বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। নিহত তাসলিমার মা মর্জিনা বেগম অভিযোগ করে জানান, তার মেয়ের সঙ্গে
প্রেমের সম্পর্কে তিন বছর আগে সেনবাগ উপজেলার কাদরা ইউপির চাদপুর খলিফা পাড়া গ্রামের ইউনুস পাটোয়ারী বাড়ির মাহবুবল হকের ছেলে সাইফুলের সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে শ্বশুড়-শাশুড়ী তাকে মেনে নিতে চায়নি। এক পর্যায়ে ননদরা তাকে শ্বশুর বাড়িতে নিয়ে যায়। ওই বাড়িতে
নিয়ে যাবার কিছু দিন পর শ্বশুড় মাহবুবল হক ছেলে বৌ তাসলিমাকে ৫হাজার টাকা দিয়ে অনৈতিক কাজের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু ওই গৃহবধূ ওই প্রস্তাবে সাড়া না দিয়ে ওই টাকা স্বামীর দিয়ে বিষয়টি জানিয়ে দেয়। এই নিয়ে বিরোধ সৃষ্ঠি হয়। ওই ঘটনার জের ধরে স্বামী-শ্বশুর-শাশুড়ী মিলে
রোববার রাতে তার মেয়ে তাসলিমাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে সে গলায় ফাঁসি দিয় আত্মহত্যা করেছে বলে এলাকায় প্রকাশ করে। রাতে তার মেয়ে অসুস্থ্য হয়ে পড়ার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন তার মেয়ের লাশ মেঝেতে পড়ে রয়েছে। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে
পৌছে লাশ উদ্ধার করে এবং স্বামী সাইফুল ইসলামকে আটক করে লাশ সহ থানায় নিয়ে আসে। সোমবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালেল মর্গে প্রেরণ করে
নিহত তাসলিমার পিতার বাড়ি লক্ষীপুর জেলা মজু চৌধুরী হাট গ্রামে। তারা দীর্ঘ৮/১০ বছর ধরে
সেনবাগ পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের উত্তর শাহাপুর গ্রামের হাজ্বী রুহুল আমিনের বাড়িতে ভাড়া থাকেন। এব্যাপারে যোগাযোগ করলে সেনবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এঘটনায় স্বামীকে আটক করা হয় এবং লাশ
ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়না তদন্তে রিপোর্ট হাতে পেলে পরবর্তী আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।