শনিবার, নভেম্বর ২৩, ২০২৪
spot_img
Homeসারাদেশঢাকাগাজীপুর মহানগরের ৮ টি থানায় রাতের অন্ধকারে বিএনপি'র আহবায়ক কমিটি গঠন।

গাজীপুর মহানগরের ৮ টি থানায় রাতের অন্ধকারে বিএনপি’র আহবায়ক কমিটি গঠন।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বি এন পি) প্রধানত জাতীয় পর্যায়ে ঐকমত্য সৃষ্টির উদ্দেশ্যে এর কার্যক্রম শুরু করে। গঠনতন্ত্রে বলা হয়েছে যে, এই দল দেশের প্রাথমিক স্তর অর্থাৎ গ্রাম থেকে

সংগঠিত হয়ে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত সম্প্রসারিত হবে। দলের সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে ১১-সদস্য বিশিষ্ট স্থায়ী কমিটি। সদস্যগণ দলের চেয়ারম্যান কর্তৃক নিযুক্ত হবেন। এর নিচে রয়েছে জাতীয় নির্বাহী

কমিটি। জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সংখ্যা ১৪০। ৭৫টি জেলা কমিটি। ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে বহুসংখ্যক কমিটি। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় এই সকল কমিটি গঠিত হবে।

দলের সমর্থন ভিত্তি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলকে বাংলাদেশের সর্বস্তরের জনগণের নিকট জনপ্রিয় করে তোলার জন্য নেতৃবৃন্দ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত এই দলকে বিস্তৃত করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন,

কেন্দ্র থেকে জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন, এমন কী গ্রাম পর্যন্ত এর সমর্থন ভিত্তি প্রসারিত, তাছাড়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের বিভিন্ন সহযোগী ফ্রন্টও রয়েছে।

জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, জাতীয়তাবাদী যুবদল, জাতীয়তাবাদী মহিলা দল, জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল, জাতীয়তাবাদী কৃষক দল, জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য। প্রথমে এই সংগঠনগুলি ছিলজাতীয়তাবাদী দলের অংগ সংগঠন। বর্তমানে এগুলি মূল দলের সহযোগী সংগঠন।

ব্যবসা-বাণিজ্যে বেসরকারি উদ্যোগকে সম্পৃক্ত করার জন্য দেশের ব্যবসায়ী এবং শিল্পপতিরাও এই দলের প্রতি আকৃষ্ট। জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা এবং স্বাধীন পররাষ্ট্র নীতি অনুসরণের ফলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছেন দেশের বুদ্ধিজীবী মহল। ইসলামী মূল্যবোধের জন্য দেশের বিরাট

সংখ্যক আলেম-ওলামাও রয়েছেন এর সমর্থকরূপে। এই দলের সমর্থন ভিত্তি গ্রামাঞ্চলে যেমন শক্তিশালী, তেমনি সুদৃঢ় শহরাঞ্চলেও। দলের সাফল্য বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের অর্জন অনেক। ১৯৭৮ সালের ৩ জুনে জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন।

১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রামে এক ব্যর্থ অভ্যুত্থানে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নিহত হলে বিচারপতি আবদুস

সাত্তার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রার্থী হিসাবে ১৯৮১ সালের ১৫ নভেম্বর বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারির সাধারণ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী

দল জিয়াউর রহমানের স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ১৪০টি আসন লাভের মাধ্যমে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে আবির্ভূত হয় এবং সরকার গঠন করে। ২০০১ সালের ১ অক্টোবরে অনুষ্ঠিত

সাধারণ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ৩০০টি আসনের ১৯৩টি আসন লাভ করে পুনরায় ক্ষমতাসীন হয়। ১৯৯৬ সালের ১২ জুনের নির্বাচনের পর বিএনপির নেতা জাতীয় সংসদে বিরোধী

দলের নেতার ভূমিকা পালন করেন। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত নবম সংসদের সাধারণ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল অনেকটা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। ৩০০ আসনের মধ্যে ৩০টি

আসনে জয়লাভ করে বিরোধী দল হিসেবে জাতীয় সংসদে ভূমিকা পালন করেন, পরবর্তী সময় ২০১৩ দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০১৮ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন,আসন্ন জাতীয় সংসদ

নির্বাচন ২০২৩ একটানা তিন মেয়াদে ক্ষমতার বাইরে থেকে জাতীয়তাবাদী দলের কেন্দ্রীয় থেকে জেলা থানা ওয়ার্ড পর্যায়ে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন মামলা হামলায় জর্জরিত

সম্প্রতি সময় কর্মসূচি দিয়ে কিছুটা চাঙ্গা অবস্থানে রয়েছে, ইতিমধ্যে দলটি বিভিন্ন জায়গায় কমিটি গঠন নিয়ে বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না। সম্প্রতি সময়ে গাজীপুর মহানগর ৮ টি মেট্রো থানা আহবায়ক

কমিটি গঠন নিয়ে গাজীপুর মহানগরের বিএনপির ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে । মহানগর থানা পর্যায়ে একাধিক নেতৃবৃন্দের সাথে যোগাযোগ করে জানা যায়,

বিগত ২২শে ফেব্রুয়ারি -২০২২ গাজীপুর মেট্রোপলিটন টঙ্গী পশ্চিম থানার পূণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করেন, সেই কমিটি অনুমোদন করেন তৎকালীন গাজীপুর মহানগর বিএনপির আহবায়ক

আলহাজ্ব সালাউদ্দিন সরকার, ১ নং যুগ্ন আহবায়ক শওকত হোসেন সরকার, সদস্যসচিব আলহাজ্ব সোহরাব উদ্দিন, কমিটি গঠনের সময় মতবিনিময় সভার আয়োজনের মধ্য দিয়ে নেতৃবৃন্দের

মতামতের ভিত্তিতে দীর্ঘদিনের ত্যাগী সাংগঠনিক মূল্যায়নের ভিত্তিতে কমিটি গঠন করেছেন, যা ইতিপূর্বে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।একইভাবে টঙ্গী পূর্ব , গাছা, পুবাইল ,

বাসন, সদর মেট্রো, কাশিমপুর , কোনাবাড়ী থানার কমিটি গঠন করেন, বিগত অক্টোবর ২০২২ মহানগর কমিটি বিলুপ্ত হয় নতুন কমিটি গঠন হওয়ার পর আহবায়ক সোহরাব উদ্দিন ১ নং যুগ্ন

আহবায়ক মঞ্জুরুল করিম রনি সদস্য সচিব শওকত হোসেন সরকার দায়িত্ব পান, কিছুদিনের মাঝে সোহরাব উদ্দিন ও মঞ্জুরুল করিম রনির মধ্যে কমিটি গঠন নিয়ে সম্পর্কের অবনতি শুরু

হয়, ডিসেম্বর ২০২২ একটি মামলায় সোহরাব উদ্দিন জেল হাজতে যান, মামলায় যাবিনে এসে কিছুদিনের মধ্যে ঢাকার গুলশানে কোন একটি গোপন মিটিংয়ে রনির সাথে সোহরাব উদ্দিনের বাক

বিতন্ড হয়,এক পর্যায়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে, সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান, তার মৃত্যুতে সোনার হরিণ ধরা দেয় মনজুর করিম রনির হাতে,ভারপ্রাপ্ত

আহবায়কের দায়িত্ব নিয়ে তড়িঘড়ি করে রাতের আধারে গাজীপুর মহানগর ৮টি থানায় অযোগ্য লোকজন দিয়ে কমিটি ঘোষণা দেওয়া হয়, আগের কমিটির মেয়াদ থাকতে শর্তেও নতুন করে

আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করেন। এতে করে গাজীপুর মহানগরে বিএনপির নেতৃত্ব শূন্য হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ বিষয়ে গাজীপুর মহানগরের বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মনজুরুল করিম রনির সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়, অব্যয়ক সদস্য সচিব

শওকত হোসেন সরকারের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার মোবাইল নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায় এ বিষয়ে গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক সালাউদ্দিন সরকার বলেন অনেক ত্যাগী কর্মীরা কমিটিতে পথ পায় নাই তাই তাদের ভিতর একটা ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।

spot_img
এই বিভাগের অনান্য সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

spot_img

জনপ্রিয় সংবাদ