বশির আলম, কাকরাইল মারকাজ ও ইজতেমার মাঠের ন্যায্য অধিকার চান তাবলীগের সাথীরা বিশ্ব ইজতেমার মাঠ ও কাকরাইল মসজিদ ন্যায্য ব্যবহার নিশ্চিত করার পাশাপাশি ৭ দফা দাবি
নিয়ে তাবলীগ জামাতের মাওলানা সাদ কান্দলবীর অনুসারীরা বিশ্ব ইজতেমা পরবর্তী বৃহস্পতিবার দুপুরে উত্তরার একটি হোটেলে সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করেন সাংবাদিক সম্মেলনে
লিখিত বক্তব্যে তাবলীগের সাথী অ্যাডভোকেট আব্দুল কুদ্দুস বাদল বলেন আগামী ২০২৪ সালে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব যেহেতু তারা করবেন তাই টঙ্গীর সম্পূর্ণ প্রশাসনের দায়িত্বে থাকার দাবি জানান। কাকরাইল মসজিদ ও ইজতেমা ময়দান যাতে করে তাবলীগের অনুসারীরা ব্যবহার করতে
পারেন তার জন্য ৭ দফা দাবি পেশ করা হয়েছে। ১.আমাদের অনুরোধ বিশ্ব ইজতেমার সাথে সংশ্লিষ্ট সকলেই মাঠের প্যান্ডেল নির্মাণ ও খোলার কাজ করবেন। প্রয়োজনে প্রশাসনের তদারকিতে উভয়পক্ষ বিশ্ব ইজতেমার ময়দান ব্যবহার করবেন। ২.কাকরাইল ও বিশ্ব ইজতেমার মাঠ থেকে দুই
মাদ্রাসা কে অন্য জায়গায় স্থানান্তর করা, কারণ শুধুমাত্র তাবলীগের কাজের জন্য এই মাঠ ও কাকরাইল মসজিদ। ৩.মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের অনুরোধ তাবলীগের সার্বিক কার্যক্রম ও বিশ্ব ইজতেমা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনায় প্রশাসনের সহযোগিতার জন্য নিরপেক্ষ প্রভাবমুক্ত একটি
কমিটি গঠন করা। ৪.কাকরাইল মসজিদ পূর্বের মত দিল্লির নিজামউদ্দিন মারকাজের অধীনে পরিচালনার যাবতীয় ব্যবস্থা করা। ৫. দেশের সকল মসজিদে তাবলীগের সমস্ত কার্যক্রমের জন্য অনুমতি দেওয়া। ধর্মীয় কাজে বাধা দিলে ও অপপ্রচার চালালে সংবিধান মোতাবেক আইনী ব্যবস্থা
গ্রহণ করা। সারাদেশে স্বাধীনভাবে ধর্মীয় দাওয়াতি কাজ করার পরিবেশ তৈরি করে দেওয়া।
৬. টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমার সকল মুরুব্বিদের আসার বিষয়ে নিশ্চয়তা প্রদান করা। ৭. বাংলাদেশের ধর্মীয় সম্প্রীতি অক্ষুন্ন রাখতে ও দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে, তাবলীগের যাবতীয় কাজ
পরিচালনায় হেফাজতসহ দ্বিতীয় পক্ষের রাজনৈতিক অবৈধ হস্তক্ষেপ বন্ধ করা। যাতে করে ইসলামের নামে কোন পক্ষ সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসলমানকে তাবলীগের নামে কেউ ভুল বুঝিয়ে রাজনীতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে না পারে। এ বিষয় গুলোর ইনসাফ ভিত্তিক নিরপেক্ষ
ভূমিকা পালন করে সুষ্ঠু সমাধানের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা।