মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর সুইচ গেইট এলাকায় গত ১৪ জুন স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রী (১৮)কে সঙ্গবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় দুই অভিযুক্তকে পুলিশে দিল পিতা-মাতা। মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে পুলিশ
উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ডের মৌলভী বাজার থেকে তাদের গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়।
গ্রেফতারকৃত আসমিরা হলো, উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ডের একরামুল হকের ছেলে রিয়াদ (৩০) ও
মুছাপুর ক্লোজারের রেগুলেটর মোড়ের আলা উদ্দিনের ছেলে জালাল উদ্দিন (২৮) এঘটনায় জাহাঙ্গীর নামের আরো এক আসোমি পলাতক রয়েছে। এর আগে,বুধবার ১৪ জুন বেলা ১১টার দিকে উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের ৭নম্বর
ওয়ার্ডের পর্যটন এলাকা মুছাপুর সুইচ গেইট এলাকায় স্ত্রীকে নিয়ে ঘুরতে যায় ভুক্তভোগীর স্বামী। এ সময় তিন বখাটে স্বামীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণ করে। পরে গত রোববার ১৮ জুন এ ঘটনায় তিনজনকে আসামি করে
ভুক্তভোগীর স্বামী মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,গত বুধবার ১৪জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গৃহবধূ (১৮) তার স্বামীর সাথে নোয়াখালীর সদর উপজেলা থেকে মোটরসাইকেল যোগে কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুর
সুইচ গেইট এলাকায় ঘুরতে আসে। সুইজ গেইট পার হয়ে পূর্বদিকে বাগানের পার্শ্বে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছবি তোলার সময় আসামি জাহাঙ্গীর, রিয়াদ ও জালাল উদ্দিন হাতে ছুরি ও লাঠিসোটা নিয়ে ঘটনাস্থলে ভিকটিম ও তার স্বামীকে বিভিন্ন
ধরনের হুমকি ধমকি দিতে থাকে। একপর্যায়ে তিন আসামি ভিকটিমের স্বামীকে গাছের সঙ্গে গামছা দিয়ে বেঁধে তার স্ত্রীকে বাগানে নিয়ে জোর র্পূবক সঙ্গবদ্ধ করে। বিষয়টি টের পেয়ে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে ধর্ষকরা পালিয়ে
যায়। মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো.আইয়ুব আলী বলেন, দুই ধর্ষককে তাদের পরিবারের সদস্যরা আটক করে। এরপর স্থানীয় ইউপি সদস্য সেলিমের উপস্থিতিতে আসামিদের পরিবারের খবরের ভিত্তিতে পুলিশ তাদের
গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ সাদেকুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দুই আসামিকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। পরে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।