মোজাম্মেল আলম : সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জে মসজিদে দান করা ২৫০টাকা মূল্যের ১টি কাঁঠাল নিলামে বিক্রি করা নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ৪ জনের মৃত্যুর ঘটনার প্রেক্ষিতে মূলহোতাসহ আজ বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) দুপুর পর্যন্ত মোট ১৫জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু এখনও পর্যন্ত থানায় মামলা হয়নি।
কারণ মামলা দেওয়ার মতো কাউকে খোঁজে পাচ্ছেনা পুলিশ। এজন্য আটককৃত ১৫ জনকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে পৃথক ভাবে আদালতের মাধ্যমে কারাঘারে পাঠানো হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে- গতকাল সোমবার (১০ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলার হাসনাবাদ গ্রামের মসজিদে দান করা একটি কাঁঠাল প্রকাশে নিলামে বিক্রি করা নিয়ে ওই গ্রামের প্রভাবশীল সরাই মরল ও মালদা আলীর গোষ্ঠীর লোকজনের মধ্যে দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে ডাকাডাকি করে রক্তক্ষয়ী হয়।
এই সংঘর্ষে ওই গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে নুরুল হক (৪৫), একই গ্রামের আব্দুস সুফি মিয়ার ছেলে বাবুল মিয়া (৫০), আব্দুল বাসিরের ছেলে শাহজাহান মিয়া (৫৫) ও আছির আহমেদের ছেলের মুখলেছুর রহমান (৬০) এর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। এঘটনায় আহত হয় আরো অর্ধশতাধিক।
আহত মধ্যে অনেককে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে স্থানীয় কৈতক ও সুনামগঞ্জসহ সিলেট ওসামানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। আবার অনেক আহতরা গ্রেফতার এড়াতে নিজেকে আত্মগোপনে রাখে। পুলিশ গত ২দিনে পৃথক অভিযান চালিয়ে সিলেট ও সুনামগঞ্জ থেকে মোট ১৫ জনকে গ্রেফতার করেছে। একারণে হাসনাবাদ গ্রাম পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে। তাই মামলা নেওয়ার জন্য পুলিশ থানায় অপেক্ষা করলেও কেউ আসছেনা।
অন্যদিকে ওই গ্রামের গৃহবধুরা তাদের সন্তানদেরকে নিয়ে পড়েছেন মহাবিপদে। তারা অনেকেই তাদের শিশু সন্তান রেখে বাহিরে যেতে পারছেনা। সাংসারিক কাজ কর্মসহ নানান ভাবে পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে। এব্যাপারে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল বাসিত সুজন জানান- সংঘর্ষের ঘটনার পর পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়ার ভয়ে হাসনাবাদ গ্রামের পুরুষরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছে।
বর্তমানে নারী ও শিশুরা রয়েছে। আর সংঘর্ষে যে ৪ জন মারা গেছেন, তাদেরকে দাফন করা হয়েছে। সুনামগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সাঈদ জানান- দুই পক্ষের লোকজন পলাতক থাকার কারণে এখানো মামলা হয়নি। পুলিশ অভিযোগ নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে।