মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, নোয়াখালীর সেনবাগে চোরের চুরিকাঘাতে দুই গৃহকর্তা গুরুত্বর আহত হয়েছে। এ সময় স্থানীয় এলাকাবাসী মোঃ ফারুক (৩৫) নামের এক চোরকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপার্দ করেছে। ওই ঘটনাটি ঘটেছে
মঙ্গলবার ভোরে সেনবাগ উপজেলার ৭নং মোহাম্মদপুর ইউপির ৬ নং ওয়ার্ডের দক্ষিন মোহাম্মদপুর গ্রামের হক সাহেবের বাড়িতে।
আহতরা হচ্ছে ঃ ওই বাড়ির বদিউল আলমের ছেলে জাকের হোসেন (৩০) ও একই বাড়ির আমিন উল্লাহ ছেলে মোঃ ফয়সল (২৪) এবং চোর বেগমগঞ্জের চৌমুহনী পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড হাজীপুর গ্রামের মিযারপোল এলাকার আবদুল
খালেক প্রকাশ বুলু মিয়ার ছেলে মোঃ ফারুক (৩৫)। এদের মধ্যে চোর ফারুক ও গৃহকর্তা জাকের হোসেনের অবস্থা সংকটাপন্ন। তাদেরকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থায়ীয় লোকজন জানায় মঙ্গলবার ভোরে উপজেলা দক্ষিন মোহাম্মদপুর গ্রামের হক সাহেবের বাড়ির আমিন উল্লাহ ছেলে ফয়সলের বসতঘরে কৌশলে চোর ফারুক ডুকে আলমিরা-শো কেইস ভেঙ্গে মালামালা তছনছ করে।
এসময় পাশ্বের ঘরের এমাম হোসেন দোকান বন্ধ করে বাড়িতে এসে দেখেন তার ঘরের জানালা খোলা। এ সময় তিনি শোর চিকিৎকার শুরু করলে চোর দৌড়ে পালিয়ে যাবার চেষ্টা করে। এ সময় তার শোরকিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে
এসে চোরকে ফারুককে ঝাপটে ধরলে সে ধারালো চুরি দিয়ে চুরিকাঘাত করে গৃহকর্তা জাকের হোসেনের বুক ও ফয়সলকে শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথাড়ী চুরিকাঘাত করে আহত করে। এ সময় বিক্ষুব্দ এলাকাবাসী চোর ফারুককে গণপিটুনি দিয়ে আটকিয়ে রাখে।
পরবর্তীতে খবর পেয়ে সেনবাগ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে চোরকে উদ্ধার করে প্রথমে সেনবাগ উপজেলা ৫০ শর্য্যা হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করান। সে সখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে নোয়াখালী ২৫০ শর্য্যা জেনারেল হাসপাতাল ভর্তি করানো হয়। তার অবস্থা আশঙ্কা জনক।
অপরদিকে চোরের চুরিকাঘাতে আহত জাকের হোসনকে প্রথমে দাগনভূঁইয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেএ সেখান থেকে ফেনী সদর হাসপাতাল ও পরবতীতে নোয়াখালী ২৫০ শর্য্যা জেনারেল হাসপাতাল নিয়ে ভর্তি করানো হয়। তার অবস্থাও
আশঙ্কা জনক। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সেনবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ নাজিম উদ্দিন জানান,এঘটনায় থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।