মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি সিরাজদিখান শেখরনগরে কালিপূজা কে কেন্দ্র করে চাঁদাবাজদের সীমাহীন দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ ব্যবসায়ী ও স্হানীয় সাধারণ জনতা।মেলা হতে প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদা উত্তোলনকারী চক্রটি দলের নাম ভাঙিয়ে অতি মাত্রায় চাঁদা দাবি করার পাশাপাশি উক্ত মেলার সমস্ত নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নিতে মরিয়া।
শেখরনগর খেলার মাঠে নাগরদোলা,চটপটি এবং ফার্নিচার দোকান গুলো ছাড়াও নৌপথে আসা সকল পরিবহন হতে চাঁদাবাজীর অভিযোগ বেশ পুরনো।আসন্ন মেলায় পূর্বের চেয়ে অতি মাত্রায় চাঁদা হাঁকা হচ্ছে।চাঁদাবাজি করতে সংগঠিত হয়েছে স্হানীয় শীর্ষ সন্ত্রাসী শেখরনগর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মৃত খোকন
খন্দকারের পুত্র আসিফ খন্দকার রিজু (৪৩)কলিন পিতা বাচ্চু খন্দকার,সিঙ্গাডাকের শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী শাহিন ওরফে মাতাল শাহিন এবং গোপাল পুর এলাকার মহিউদ্দিন।শেখরনগর কালি মন্দির হতে পুলিশ ফাঁড়ি অবধি জেনারেটর পরিচালনার দায়িত্ব প্রাপ্ত সিঙ্গাডাক এলাকার সজিব এবং শেখরনগর এলাকার তুশারসহ অনান্যরা
গত ২৪ ই মার্চ কালি মন্দিরের ভিতরে মন্দির কমিটির সাথে আলোচনা করা কালীল উক্ত সন্ত্রাসীরা তাদের ওপর অর্তকিত হামলা চালিয়ে সজিব মাঝি(৩১)এবং তুশার কে আহত করেন।হামলায় নেতৃত্বদানকারী শীর্ষ সন্ত্রাসী রিজু তাদের কে বলেন,তোদের কত বড় সাহস জেনারেটর ব্যবসা করতে এসেছিস,জানস না এমপি মহোদয়
আমাকে সম্পূর্ণ মেলার দায়িত্ব দিয়েছেন,বাড়াবাড়ি করলে এখান হতে জান নিয়ে ফিরতে পারবি না এ সময় মন্দিরে অবস্থিত জনতা দৌড়ে বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে আশ্রয় নেন।খবর পেয়ে শেখরনগর ফাঁড়ি পুলিশ তাদের কে সেখান হতে উদ্ধার করেন।এ ব্যপারে সজিব ৪ জন কে আসামি করে শেখরনগর ফাঁড়িতে একটি অভিযোগ
দায়ের করেছেন।আহত সজিব মাঝি জানান,শেখরনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান দেবব্রত সরকার টুটুল আমাদের কে জেনারেটর পরিচালনার দায়িত্ব দিলে আমরা সকলে মন্দিরে গিয়ে মন্দির কমিটির সাথে আলোচনা কালে অতর্কিত হামলা চালিয়ে কিল,ঘুষি, লাথি উষ্টা মারতে থাকেন,পাশ থেকে প্রতিবাদ করায় প্রথমে তুষার
এবং পরে বাকিদের এখান হতে চলে না গেলে জানে মেরে ফেলার হুমকি দেন।গত ২৩ তারিখ রোজ শনিবার চক্রের মূলহোতা রিজু শেখরনগর ফাঁড়ি ইনচার্জের কক্ষে ফৈনপুর এর তোফাজ্জল কে চেয়ার নিয়ে মারতে উদ্ধত হন।সাপ্তাহিক জনপ্রিয় পত্রিকার সম্পাদক মোঃ ইব্রাহিম সাগর জানান,আমি শেখরনগর ফাঁড়িতে একটি
শালিশে গিয়েছিলাম।সেখানে মেলা কমিটির ইয়াহিয়া ও তার লোকজন আমার সাথে খারাপ আচরন করে।শেখরনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও রায়বাহাদুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য রাকিবুল ইসলাম চাঁদাবাজির বিষয় টি অস্বীকার করে বলেন,কে আপনাদের কাছে এই ঘটনা বলেছে। তাকে
আমার সামনে নিয়ে আসেন।২৩ ই মার্চ রোজ শনিবার শেখরনগর ফাঁড়ির ঘটনার বিষয় শেখরনগর ইউপি চেয়ারম্যান দেবব্রত সরকার টুটুল বলেন, যা ঘটে ছিল।পরে তা মীমাংসা হয়ে গিয়েছে।শেখরনগর ফাঁড়ির ইনচার্জ নাসির শেখ বলেন, আমার ফাঁড়িতে যা ঘটে ছিল।তা সাথে সাথে মীমাংসা হয়ে গেছে।