মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া-সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জে একদিনের ব্যবধানে সড়ক দূঘটনায় আবারো ঝড়ে পড়ল দুইটি তাজ প্রাণ। সম্পর্কে দুজন দাদী ও নাতনী। এঘটনা গুরুতর আহত হয়েছে আরো ১জন। অন্যদিকে হাওরে মাছ শিকার করতে গিয়ে এক জেলের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।
এঘটনা আরো ১জন আহত হয়েছে। মৃতরা হলো- জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের ভুজনা গ্রামের মৃত সুরেশ বিশ্বাস ছেলে শ্রী সচী বিশ্বাস (৩২) ও দিরাই উপজেলার তাড়ল ইউনিয়নের তলবাউসি গ্রামের আতাউর রহমানের মা শামসুন্নাহার (৭৫) ও মেয়ে জান্নাত বেগম (১৩)।
আহতরা হলো- মোটর সাইকেল চালক শহিদুল ইসলাম (৩৫) ও জেলে কইল্লা বিশ্বাস (৩০)। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে- আজ শনিবার (৬ এপ্রিল) ভোর রাতে জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার কনসখাই হাওরে মাছ শিকার করতে যায় জেলে সচী বিশ্বাসও কইল্লা বিশ্বাস।
হাওরে মাছ শিকার করার সময় বজ্রপাতের শিকার হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় সচী বিশ্বাস। ওই সময় তার সাথে থাকা অপর জেলে কইল্লা বিশ্বাস গুরুতর আহত হয়। পরে তার চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে।
অন্যদিকে গতকাল শুক্রবার (৫ এপ্রিল) রাত ১১টায় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দাদী ও নাতনীর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানোসহ গুরুতর আহত মোটর সাইকেল চালককে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে।
ওই দিন রাত ১০টায় সুনামগঞ্জ শহরতলীর বড়ঘাট এলাকা থেকে যাত্রীবাহী মোটর সাইকেল ভাড়া নিয়ে দাদী শামসুন্নাহার ও নাতনী জান্নাত বেগম তাদের গ্রামের বাড়ি দিরাই উপজেলার উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
এমতাবস্থায় তারা রাত সাড়ে ১০টায় সুনামগঞ্জ-সিলেট আ লিক মহাসড়কের গাগলী এলাকায় পৌছার পর মালাবাহী একটি ট্রাক এসে মোটর সাইকেলটিকে পিছন থেকে ধাক্কা দেয়।
এঘটনায় দাদী শামসুন্নাহার ও নাতনী জান্নাত বেগম মোটর সাইকেল থেকে ছিটকে রাস্তা পড়ে যায় এবং মাথায় আঘাত পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে মারা যায়। আর মোটর সাইকেল চালক শহিদুল ইসলাম গুরুতর আহত হয়।
এঘটনার খবর পেয়ে শান্তিগঞ্জ থানার পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে মৃত দাদী ও নাতনীর লাশ উদ্ধারে মর্গে পাঠায়। আর আশংকাজনক অবস্থায় আহত মোটর সাইকেল চালকে সিলেট পাঠানো হয়।
দোয়ারাবাজার থানার ওসি বদরুল হাসান ও শান্তিগঞ্জ থানার ওসি মোক্তাদির হোসেন পৃথক ঘটনায় ৩জনের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।