মোহাম্মদ দুদু মল্লিক,শেরপুর প্রতিনিধি। প্রায় ১১ বছর আগে মারা গেছেন স্বামী। ৯ বছর আগে অজানা রোগে আক্রান্ত হয়ে আর উঠে দাঁড়াতে পারেননা আলেফা বেগম। দাম্পত্ত জীবনে নিঃসন্তান ছিলেন আলেফা বেগম। তাকে দেখার বা খোঁজ নেয়ার মতো কোন আত্মীয়-স্বজন কেউ নেই।
কোন বৃত্তবান তার দিকে নজর না দিলেও দিনমজুর আলম হোসেন দু.বেলা দু.মুঠো খেতে দিচ্ছেন প্রায় ৪ বছর ধরে। তার সাথে কথা বলে জানা যায় তার বয়স প্রায় ৬৫ বছর। কিন্তু আজ পর্যন্ত তার জাতীয় পরিচয় পত্র হয়নি (ভোটার আইডি কার্ড)। কোন প্রশাসনিক কর্মকর্তা বা জনপ্রতিনিধি কেউই খবর নেননি তার।
আলেফা বেগমের শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার ২ নং ধানশাইল ইউনিয়নের ১ নং চকপাড়া ওয়ার্ডে মৃত ছাবেদ আলীর স্ত্রী।পায়ের ওপর ভর দিয়ে হাঁটতে বা দাঁড়াতে পারেন না আলেফা বেগম। নেই বাবা বা স্বামীর কোন সহায়-সম্পত্তি।
খোলা মাঠের মধ্যে দরজা জানালা বিহীন অন্যের দেয়া ভাঙ্গা একটি ছাপড়া ঘরে কোনমতে বাস করেন তিনি। প্রায়ই তাকে শেয়াল কুকুর খেতে আসে রাতের বেলায়। পাঁইয়ে ভর দিয়ে দাঁড়াতে পারেন না বসে- বসে এ বাড়ি ও বাড়ি কিছু ভিক্ষা করে এনে কোনভাবে কাটিয়ে দিচ্ছেন আলেফা বেগমের জীবন।আলেফা বেগম আক্ষেপ
করে চ্যানেল এ নিউজকে বলেন, দুঃখ দেখার কেউ নেই। এ সময় এসে আমার চাওয়ার আর তেমন কিছুই নেই। তবে আপনাদের সবার কাছে আমার একটা চাওয়া হলো,আমার ভোটার কার্ড বানিয়ে দেন।
যাতে করে আমি সরকারের কাছে কিছু পেতে পারি। মরার আগে অন্তত সরকারের দেয়া একটি ঘরে মরতে পারি সেব্যবস্থাটা আপনারা করে দেন।এবিষয়ে ধানশাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম এই প্রতিবেদককে মুঠোফোনে জানান,আলেফা বেগমের যে ভোটার আইডি কার্ড নেই বা হয়নি সেটা আমি জানতাম না।আপনি সাংবাদিক আপনার মাধ্যমেই জানলাম বিষয়টি।
খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা করবো বলে জানান ইউপি চেয়ারম্যান।ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ভূঁইয়া বলেন,এমন একটি খবর তিনি সাংবাদিকের মাধ্যমেই শুনেছি। এর সত্যতা যাচাই করে সরকারি বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান।