সোমবার, নভেম্বর ২৫, ২০২৪
spot_img
HomeUncategorizedটঙ্গীতে সফিউদ্দিন সরকার একাডেমিতে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের স্মরণে দোয়া ও পুরস্কার...

টঙ্গীতে সফিউদ্দিন সরকার একাডেমিতে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের স্মরণে দোয়া ও পুরস্কার বিতরণ

বশির আলম, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত গণমানুষের নেতা ভাওয়াল বীর মহান শিক্ষক বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার এর ২০ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে গাজীপুরের স্বনামধন্য শিক্ষা

প্রতিষ্ঠান সফিউদ্দিন সরকার একাডেমী এন্ড কলেজ নানা কর্মসূচি সম্পন্ন করেছে। প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক মন্ডলী ও অভিভাবক সদস্যগন ১১মে শনিবার শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার এর রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিভিন্ন ইভেন্ট ছাত্রছাত্রীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ ও আলোচনা সভা দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল১১ মে শনিবার বিকেলে প্রতিষ্ঠানের মাঠে স্মরণ সভা দোয়া ও মাহফিলের আয়োজন করেছে, এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর ২ আসনের সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেল (এমপি )

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ৫৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বিল্লাল হোসেন মোল্লা, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি মশিউর রহমান সরকার বাবু , সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রাজীব হায়দার ছাদিম প্রমুখ, প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ

মনিরুজ্জামানের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের পরিচালনা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হাফিজ উদ্দিন সরকার।। আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার৷ এটি শুধু একটি নামই নয়, একটি আদর্শ। তিনি ছিলেন একজন আদর্শ শিক্ষক, জনপ্রিয় রাজনীতিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, গণমানুষের অতি কাছের মানুষ। ছিলেন মেহনতি শ্রমিকের বন্ধু।

তাঁর আলোয় আলোকিত হয়েছিল গোটা গাজীপুর তথা বাংলাদেশের রাজনীতি। হয়ে ওঠে ছিলেন তাঁর কালে কিংবদন্তি। ১৯৫০ সালের ৯ নভেম্বর গাজীপুরের হায়দারাবাদ গ্রামে জন্ম আহসান উল্লাহ মাস্টারের।

আমৃত্যু তিনি কাটিয়ে গেছেন মাটির ঘরে। ঘুণে ধরা সমাজ আর পচনশীল রাজনীতিরতে তিনিগা ভাসাননি । ছিলেন একেবারেই ব্যতিক্রম।

নীতি-নৈতিকতা ছিল তাঁর অনন্য সম্পদ। ফলে সন্ত্রাসনির্ভর রাজনীতিকে পেছনে ফেলে তিনি অবিরাম ছুটেছিলেন সাধারণ মানুষের কাছে। জয় করেছেন তাদের মন, ভালোবাসা।

বাঙালির সম্মান, গৌরব, মূল্যবোধ ও আত্মমর্যাদা বৃদ্ধিতে যে সকল রাজনীতিবিদ নিজেকে উৎসর্গ করেছেন তাদের মধ্যে একজন শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার। শ্রমজীবী মানুষের আন্দোলনের পুরোধা ছিলেন তিনি।

তাঁর সংগ্রাম ছিল শ্রমিক-কৃষক- মেহনতি জনতার জন্য। তাঁদের জন্যই তিনি রাজনীতি করেছেন। খেটে খাওয়া মানুষসহ সবাইকে আপন করে নেয়ার এক দুর্লভ গুণ তাঁর মধ্যে ছিল।

শ্রমিকদের অভাব-অভিযোগ নিয়ে এবং তাদের স্বার্থ উদ্ধারের প্রচেষ্টায় কোনোদিন তাঁকে পিছপা হতে দেখা যায়নি। আলোচনা শেষে তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া কামনা করা হয়।

spot_img
এই বিভাগের অনান্য সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

spot_img

জনপ্রিয় সংবাদ