মোঃ জাহাঙ্গীর আলম নোয়াখালী প্রতিনিধি, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে অটো রিকশা চালানোর আড়ালে ডাকাইতর ঘটন্ধাসঢ়;য় জড়িত ৭ডাকাত ও তাদের সহযোগী এবং এক অসাধু জুয়েলারি ব্যবসায়ীকে লুণ্ঠিত মালামালসহ গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ১টি এলজি, ১টি পাইপগান, ২টি কিরিচ, ৩টি ছোরা, ১টি গ্রিল কাটার, ১টি শাবল এবং ডাকাতির সময় লুন্ঠিত ৪ ভরি ১১ আনা স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, সুধারাম থানার
আন্ডারচর ইউনিয়নের ডাকাত সর্দার মোঃ কামাল (৪৩), লক্ষীপুরের রামগতি থানার সবুজ গ্রামের মোঃ শামীম (২২), রামগতি থানার সুজন গ্রামের মোঃ রায়হান (২৮) ভোলা জেলার ফুলকেইচ্যা গ্রামের মোঃ
মিরাজ (২২) লক্ষীপুরের কমলনগর থানার নবীগঞ্জ বাজার এলাকার মোঃ শরীফ (২৭) লক্ষীপুর সদর উপজেলার চর মনসা গ্রামের মোঃ হেলাল উদ্দিন(২১)লক্ষীপুরের কমলনগর থানার ইসলামগঞ্জ এলাকার
মোঃ সালাউদ্দিন সবুজ (২৬) একই থানার চরজগবন্ধু গ্রামের শ্রাবণ স্বর্ণ শিল্পালয়ের স্বত্ত্ধসঢ়;বাধিকারী মোঃ হাসান প্রক্ধাসঢ়;শ রিপন (৩০)। শুক্রবার (৫ জুলাই) বিকেলে আসামিদের নোয়াখালী চীফ
জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়। এর আগে, বৃস্পতিবার দিবাগত রাতে উপজেলার মীরওয়ারিশপুর ইউনিয়নের লালপুর এলাকা থেকে স্থানীয়দের সহায়তায় তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, বেগমগঞ্জ উপজেলায় কিছু ডাকাতির ঘটনায় ডাকাত সর্দার কামালের নাম উঠে আসে। পরে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে তার অবস্থান নিশ্চিত করে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ডাকাত কামাল ও তার সহযোগী
শামীম, রায়হান, মিরাজ, শরীফ,হেলাল উদ্দিন, সালা উদ্দিন ও হাসানকে গ্রেফতার করে। ডাকাত কামালের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় হত্যা, ডাকাতি, লুন্ঠনসহ ১৬টি মামলা আছে। পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার ডাকাত রায়হান
চৌমুহনী এলাকায় অটোরিকশা চালাতো। অটোরিকশা চালানোর পাশাপাশি সে বিভিন্ন এলাকার বাড়িঘর রেকি করে সেগুলোর বিশদ তথ্য সংগ্রহ করে দলনেতা কামালের নিকট দেয়। রায়হানের দেয়া তথ্যের
ভিত্তিতে টার্গেটকৃত বাড়িতে ডাকাত কামালের দল ডাকাতি করে। ডাকাতিতে অটোরিকশা চালক রায়হান সরাসরি অংশগ্রহণ করত। ডাকাতির স্বর্ণ তারা লক্ষ্ধসঢ়;মীপুরের কমলনগর থানার রিপন স্বর্ণকারের কাছে
বিক্রয় করে। পরবর্তীতে ডাকাত কামালের ভাষ্যমতে মালামাল কেনাবেচার সাথে জড়িত রিপন স্বর্ণকারকে গ্রেপ্তার করে ডাকাতির সময় লুন্ঠিত ৪ ভরি ১১ আনা স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। বেগমগঞ্জ থানার অফিসার
ইনচার্জ (ওসি) মোঃআনোয়ালুল ইসলাম বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে ডাকাতি ও অস্ত্র আইনে মামলা নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে ওই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে বিচারিক আদালতে সোপর্দ করা হয়। স্থানীয়
এজেন্ট রায়হানের তথ্যের ভিত্তিতে তারা চট্রগ্রামে বসে ডাকাতির পরিকল্পনা করত। পরে ডাকাতি করে কামাল ডাকাত দল নিয়ে চট্রগ্রাম চলে যেত।