মঙ্গলবার, জানুয়ারি ২৮, ২০২৫
spot_img
Homeআইন-অপরাধসুনামগঞ্জে গডফাদার তোতলা আজাদের শাস্থির দাবীতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন

সুনামগঞ্জে গডফাদার তোতলা আজাদের শাস্থির দাবীতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জে সীমান্ত চোরাকারবারী ও সোর্সদের গডফাদার তোতলা আজাদের শাস্থির দাবীতে ফুসে উঠেছে জনসাধারণ। আজ রবিবার (১৪ জুলাই) দিনব্যাপী জেলার তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট বাজার, বড়ছড়া ও চারাগাঁওসহ বিভিন্ন স্থানে পৃথক ভাবে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।

এরআগে গতকাল শনিবার (১৩ জুলাই) বিকাল ৫টা থেকে ঝাড়– হাতে নিয়ে কয়েক হাজার ব্যবসায়ী ও ভুক্তভোগীরা গডফাদার তোতলা আজাদকে গ্রেফতারের জন্য বাদাঘাট বাজারে বিক্ষোভ মিছিল করে। পরে সন্ধ্যায় বাজারের প্রধান সড়কে বিশাল মানববন্ধন হয়। ওই সময় ভোক্তভোগীরা জানান- জেলার তাহিরপুর

উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের কামড়াবন্দ গ্রামের মৃত বদ মিয়ার ছেলে হাবিব সারোয়ার তোতলা আজাদ নিজেকে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার স্টাফ রিপোটার পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষকে নানান ভাবে হয়রানী ও ব্ল্যাকমেইল করছে দীর্ঘদিন যাবত। সেই সাথে লাউড়গড়ে সীমান্তে বায়েজিদ, জসিম, চাঁনপুর সীমান্তে সাহিবুর,

জম্মত আলী, বুটকুন, জামাল, কালাম, নজরুল, রুসমত, নাসির মিয়া, টেকেরেঘাট সীমান্তে আক্কল আলী, রুবেল, কামাল, মহিবুর, রফিকুল, বালিয়াঘাট সীমান্তে রতন মহলদার, কামরুল মিয়া, জিয়াউর রহমান জিয়া, মনির মিয়া, কালাম মিয়া, হোসেন আলী, চারাগাঁও সীমান্তে রফ মিয়া, আইনাল মিয়া, রিপন মিয়া, সাইফুল

মিয়া, বাবুল মিয়া, আনোয়ার হোসেন বাবলু, সোহেল মিয়া, দীপক, হারুন মিয়া, আমির আলী, রুবেল মিয়া ও বীরেন্দ্রনগর সীমান্তে লেংড়া জামাল, গোলাম মস্তোফা, হযরত আলীসহ আরো একাধিক মামলার আসামীদেরকে সোর্স নিয়োগ করে রাজস্ব ফাঁকি

দিয়ে প্রতিদিন ভারত থেকে কয়লা, চুনাপাথর, মরা সিংগল পাথর, বাঁশ, কাঠ, মোটর সাইকেল, গরু, ঘোড়া, চিনি, পেয়াজ, ফুসকা, নাসির উদ্দিন বিড়ি, মদ, গাঁজা, ইয়াবা ও অস্ত্র পাচাঁর করাসহ যাদুকাটা নদীর তীর কেটে বালি ও পাথর বিক্রি করে করছে। এব্যাপারে ব্যবসায়ী আফজাল হোসেন বলেন- তোতলা আজাদ নিজেকে

সাংবাদিক, পুলিশ ও র‌্যাবসহ প্রশাসেনর সোর্স পরিচয় দিয়ে সীমান্ত চোরাচালান ও চাঁদাবাজি করে গত ৫বছরে প্রায় ২০কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ মজুত করেছে। তার কথা মতো চাঁদা না দিলে নানান ভাবে হয়রানী করে। তার অত্যাচার থেকে এলাকার সাধারণ মানুষকে রক্ষা করার জন্য ওই গডফাদারকে অভিলম্বে গ্রেফতারের দাবী

জানাচ্ছি। ছাত্রলীগ নেতা নাঈম আহমেদ, কামরুল ইসলাম বলেন- তোতলা আজাদ ও তার সোর্স বাহিনী যাদুকাটা ও পাটলাই নদীতে চাঁদাবাজি, বালি-পাথর বিক্রি করাসহ সীমান্ত এলাকা দিয়ে প্রতিদিন নানানমাদকদ্রব্য পাচাঁর করে বিভিন্ন হাট বাজারের ওপেন বিক্রি করছে। তার অত্যাচারে সর্বস্থরের মানুষ অতিষ্ঠ হলেও দৈনিক

যুগান্তর পত্রিকার কর্তৃপক্ষের টনক নড়ে না। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সহযোগীতা জরুরী প্রয়োজন।ভোক্তভোগী ব্যবসায়ী আব্দুল হক বলেন- তোতলা আজাদ প্রশাসনে নাম ভাংগিয়ে ওপেন চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসা করছে। তার কারণে এলাকার যুব সমাজ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে তোতলা আজাদ তার বাড়ির অন্দর মহলে বসে

অপরাধ জগত নিয়ন্ত্রণ করে। তারপরও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়না। আমরা তার দৃষ্টান্ত মূলক শাস্থি দাবী করছি। জানাগেছে- ২০১৮ সালে ৩৪৫পিছ ইয়াবার চালানসহ চরগাঁও নামকস্থান থেকে তোতলা আজাদকে আটক করে গণধৌলাই দিয়ে থানায় সোপর্দ করেছিল এলাকাবাসী। এরপর থেকে তার দৌড়াত্ব আরো

দ্বিগুন বেড়ে যায়। এরপর তোতলা আজাদের ভাতিজা জুবায়ের শাহ কে ৫শ পিছ ইয়াবাসহ গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এঘটনার পর তোতলা আজাদের ছেলে কিশোর গ্যাং লিডার শিহাব সারোয়ার শিপু তার ২ সহযোগীকে নিয়ে মসজিদ থেকে মোটর সাইকেল চুরি করে পালানোর সময় বিজিবি হাতে গ্রেফতার হয়।

 

spot_img
এই বিভাগের অনান্য সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

spot_img

জনপ্রিয় সংবাদ