বশির আলম, গাজীপুর টঙ্গীর পাগাড়ে গীর্জার জায়গা ব্যাক্তি আবদুল মান্নান এম মৃধা নামে দলিল করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুনেছি মসজিদ, মন্দির, গীর্জা প্যাগোডা এসব প্রতিষ্ঠানের জায়গা কোনো ব্যাক্তির নামে দলিল হয় না তবে সেটাও আজ বিশ্বাস করতে হলো টঙ্গীর পাগাড়ের গীর্জার জায়গায়র দলিল দেখে,
কখনো হয়তোবা গীর্জা, মসজিদ মন্দিরের জায়গা ব্যাক্তির নামে হলেও পরবর্তীতে ঐ ব্যাক্তি কোন ট্রাস্টি বোর্ড অথবা সংশ্লিষ্ট গীর্জা বা মসজি মন্দিরে নামে দলিল করে দেয়া হয়, কিন্তু মান্নান এম মৃধা ক্ষেত্রে সম্পুর্ন উল্টোটি ঘটেছে , তিনি তার নিজেই নামে জায়গায়টির দলিল করে হয়ে গেলেন কোটি টাকার সম্পদের মালিক।
খোঁজ নিয়ে দেখা যায় ধর্মান্তরিত নামধারী কিছু খ্রীস্টান প্রচারক শহরের বিভিন্ন অলিগলিতে নাম সর্বস্ব সাইনবোর্ড এর অন্তরালে বাসা ভাড়া নিয়ে অথবা সাইনবোর্ড বিহীন গীর্জায় অর্থের লোভ দে়খিয়ে বিভিন্ন চার্চ থেকে সদস্যের উপস্থিতি দেখিয়ে অথবা বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে গরিব, অসহায় পরিবারের শিশুদের অথবা
পারিবারিক সাহায্যের নামে ছবি তুলে বিদেশি মিশনারিদের থেকে অর্থ এনে শুধু নিজেদের ভাগ্যের পরিবর্তন করেছে। নিজের ইচ্ছায় ধর্ন্তরিত হওয়া কোনো অপরাধ নয় বরং ধর্ম মানুষের জন্য, তার অনুভূতি বিশ্বাসযে ধর্মের অনুগত্যতা/ অনুসারী হোক না কেন তা কোন সমস্যার কারণ নয়! তবে তা থেকে কোন অপরাধ বিষয়ক
কর্মযজ্ঞ পরিচালনা করলে কিংবা করছে সেটা বিবেচ্য বিষয়। তবে এমন অন্যায়ে দেশ এবং জনস্বার্থে ক্ষতির কারণ হলে অবশ্যই তাকে আইনের আওতায় এনে মুখোমুখি করা উচিত।
মুসলিম থেকে ধর্মান্তরিত খ্রীস্টিয়ান নামধারী চুয়াডাঁঙা জেলার আবদুল মান্নান মৃধা (ওরফে মার্টিন এম মৃধার) রয়েছে বিলাবহুল গাড়ী, বাড়ি। তিনি টঙ্গীর পাগারে হলি হাউজ নামের একটি চার্জ দেখিয়ে সহজসরল বিদেশিদের থেকে কোটি কোটি টাকার অর্থ এনে মানুষের সেবায় ব্যায় না করে নিজেই গড়েছেন অঢেল
সম্পদের পাহাড়। খোঁজ নিয়ে জানাযায় টঙ্গীর পাগার মৌজায়, ২০১৮সালে আর, এস, ৯০৫ দাগে প্রায় ৭শতাং জায়গা ছয় লক্ষ ৯০হাজার টাকা মুল্যে ক্রয় করে যেখানে গীর্জা এবং বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলে আসছিল।
বর্তমানে এই চার্চের সকল কার্যক্রম বন্ধ করে বাড়িসহ জায়গাটি বিক্রির পায়তারা করছেন আবদুল মান্নান মৃধা (ওরফে মার্টিন এম মৃধা,) যার বর্তমান মুল্য চাইছেন দেড় কোটি। এছাড়াও চুয়াডাঙ্গার হাসানহাটি, সাতগাড়ী এবং ফার্মপাড়া এলাকা সহ ঝিনাইদহে রয়েছে একাধিক আলিশান বাড়ি, তাছাড়া মিরপুর ১১, ইস্টার্ন হাউজিং এ
রয়েছে একটি ফ্লাট যেখানে তিনি পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন, তাছাড়া নবীনগরে ১২তলা নির্মাণাধীন ভবনে রয়েছে তিনটি ফ্লোর যার নাম্বার ২,৮,১২, তাছাড়া বর্তমানে ভিআইপি প্রাইভেট কার হাকিয়ে চলেন। এছাড়াও অজান্তে থেকে যেতে পারে আরো সম্পত্তির বিবরণ অনুসন্ধানীতে হয়তোবা বেরিয়ে আসতে পারে আরও সম্পত্তি।
মুসলিম ধর্ম থেকে খ্রীস্টান ধর্মান্তরিত আবদুল মান্নান মৃধা ওরফে মার্টিন এম মৃধার সম্পদে উর্ধগতি দেখে এলাকার সাধারণ মানুষের মনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তবে এত সব সম্পদের বিষয়ে জানাতে চাইলে তিনি বলেন, আপনি লিখেন আমার সমস্ত সম্পত্তি অবৈধ,বর্তমানে কালো টাকা দিয়ে কেউ বাড়ি গাড়ি করে না?
আমি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কমান্ডার কাউন্সিলের সদস্য, ৭১ টিভি ও প্রথম আলো পত্রিকার চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি আমার শশুর, আপনি আমার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রাকাশ করতে গিয়ে নিজের ক্ষতি করবেন না। তাবে গীর্জার জায়গা ব্যাক্তির নামে ক্রয় করা যায় কি না সে বিষয়ে বাংলাদেশ খ্রীস্টান এসোসিয়েশন গাজীপুর
মহানগর শাখা কমিটির সভাপতি ফেডরিক মুকুল বিশ্বাস বলেন গীর্জার জায়গায় যদি গীর্জা হয় অথবা সেখানে যদি সদস্য থাকে সেটা কোনো ব্যাক্তি বিক্রি করতে পারে না। এদিকে রাজনৈতিক দলের পরিচয় কোটি কোটি টাকার সম্পদ গড়া আব্দুল মান্নান ওরফে মার্টিন এম মৃধার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের বিভাগীয় তদন্তের
মাধ্যমে বেরিয়ে আসতে পারেন থলের বিড়াল, এমনটি আশা করছেন বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশন গাজীপুর মহানগর কমিটির সভাপতি পেডরি