সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের চাঁনপুর সীমান্ত এখন চোরাকারবারীদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে এই সীমান্ত ১০টি পয়েন্ট দিয়ে গত ৭দিনে ১০কোটি টাকার মালামাল পাচাঁরের পাচাঁরের খবর পাওয়া
গেছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে-গতকাল সোমবার (২৩ সেপ্টেম্ভর) রাত সাড়ে ১১টা থেকে আজ মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্ভর) সকাল ৯টা পর্যন্ত জেলার তাহিরপুর উপজেলার চাঁনপুর সীমান্তের রজনীলাইন ও নয়াছড়া
এলাকা দিয়ে চোরাকারবারী জামাল মিয়া, রুসমত মিয়া, নজরুল মিয়া, নজির মিয়া, জহির মিয়া, হারুন
মিয়া, রুবেল মিয়া, আক্কল আলীগং প্রায় ৩শ মেঃটন কয়লা ও মদ পাচাঁর করেছে। একই সময়ে রাজাই ও কড়ই
গড়া এলাকা দিয়ে চোরাকারবারী জম্মত আলীগং ২শ বস্তা সুপারী, ২৬০বস্তা চিনি, নাসির উদ্দিন বিড়ি ও মদ পাচাঁর করাসহ এই সীমান্তের পর্যটন কেন্দ্র বারেকটিলার আনন্দ নগর ও মাহারাম টিলাসহ জাদুকাটা নদী দিয়ে
পৃথক ভাবে ৫শ বস্তা চিনি, ৩৭০বস্তা ফুছকা, মদ, গাঁজা ও নাসির উদ্দিন বিড়ি পাচাঁর করেছে একাধিক চোরাচালান মামলার আসামী শাহিবুর মিয়া, ফখর উদ্দিন, তোতা মিয়া, বুটকন মিয়া, বুলবুল মিয়া, রফিক মিয়া,
নিজাম মিয়া ও তোতলা আজাদগং। পরে দুপুর ১টা পর্যন্ত পাচাঁরকৃত অবৈধ মালামাল অটোরিক্সা বোঝাই করে চাঁনপুর বাজার, পাশের লাউড়গড় বাজার ও বাদাঘাট বাজারের বিভিন্ন দোকানপাটে নিয়ে মজুত করাসহ
চোরাকারবারীদের বসতবাড়ি বড়গোফ, শিমুলতলা, বারোহাল ও কামড়াবন্দ গ্রামে নিয়ে মজুত করে। এসবের বিনিময়ে দেশীয় ৫শ বস্তা রসুন, ২শ কেজি মাছ ও শাক-শবজি ভারতে পাচাঁর করে। আনন্দনগর এলাকার
আধিবাসী নারী চোরাকারবারী আছছুদ ও তার লোকজনের সহযোগীতায় দীর্ঘদিন যাবত এই এলাকা দিয়ে ওপনে চোরাচালান হচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে।