কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন চলাকালীন ছাত্র-জনতার উপর হামলার ঘটনায় কুড়িগ্রামের উলিপুরে দুই আওয়ামীলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, উপজেলা আ’লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজাহার আলী সরকার রাজা(৬০) ও তবকপুর ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি রেজাউল করিম রাজা(৫৮)। শুক্রবার (৪ অক্টোবর) তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল-হাজতে পাঠানো হয়েছে।
থানা পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ আগষ্ট কুড়িগ্রাম জেলা সদরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালীন জেলা আওয়ামীলীগের নেতাদের নির্দেশে আজাহার আলী ও রেজাউল করিমসহ স্বতস্ত্র সন্ত্রাসীরা নিরস্ত্র ছাত্র জনতার উপর দফায় দফায় হামলা চালায়। তাদের হামলায় অসংখ্য মানুষ আহত হয়। এ
সময় ওই দুই ব্যক্তি ওয়ালটন প্লাজার সামনে থাকা মোটর সাইকেলে আগুন লাগিয়ে দিয়ে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে এবং প্লাজার উপরে থাকা ডাচ্ বাংলা ব্যাংক এর গ্লাস ইট দিয়ে ঢিল মেরে ভাংচুর করে।
এ ঘটনায় গত ১৩ সেপ্টেম্বর কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার মোঘলবাসা ইউনিয়নের সাবেক যুবদল নেতা আবু তাহের মেজবা বাদী হয়ে কুড়িগ্রাম সদর থানায় ৮৫ জনের নামসহ অজ্ঞাতনামা ১৫০ জনের নামে মামলা করেন। এরপর সদর থানা পুলিশ দীর্ঘ তদন্ত করে ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় শুক্রবার অভিযান চালিয়ে কুড়িগ্রাম সদর ও উলিপুর থানা পুলিশ তাদেরকে উলিপুরস্থ নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেন।
উলিপুর থানার ওসি আবু বক্কর সিদ্দিক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এলাকাবাসী ও মিল চাতাল ব্যবসায়ীরা জানায়, গ্রেপ্তারকৃত রেজাউল করিম রাজা তবকপুর ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতির প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছিলেন। এছাড়া দলীয় প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন থেকে উলিপুর খাদ্য গুদামে মিল মালিক
সমিতির সভাপতির দায়িত্ব নেন। এরপর গুদামে সিন্ডিকেট তৈরি করে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির সাথে জড়িত থেকে লাখ লাখ টাকা অবৈধভাবে উর্পাজন করেছেন। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে সরকারি খাদ্য গুদামে তার অবৈধ ভাবে একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল। সাধারণ মিলাররা তার কাছে ছিলেন জিম্মি। তার ভয়ে গুদামে কর্মকর্তা
থেকে শুরু করে কুলি পর্যন্ত তটস্থ ছিলেন। উপজেলার সকল টি.আর ও কবিখা প্রকল্পেও ছিল তার একক আধিপত্য। এ বিষয়ে মুঠোফোনে কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল আলম জানান, আটক দুই ব্যক্তিকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।