কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের চিলমারীতে মন্দিরের নামে এাণ কার্য হিসাবে চাল বরাদ্দের অর্থ ভাগাভাগি করে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ সভাপতির বিরুদ্ধে।বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে/
বেনামে চালের ডিমান্ড অর্ডার(ডিও)প্রদান করা হলেও খাদ্যগুদামেই ডিও বিক্রি করে কয়েকটিতে কিছু টাকা প্রদান করে বাকিগুলি আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। জানা গেছে,গত ২০আগষ্ট ২০২৪তারিখের দুর্যোগ
ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর,ঢাকার স্মারক নং ৫১.০১.০০০০.০১৫-২১১ এর আলোকে ১১সেপ্টেম্বর ২০২৪তারিখে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা স্বাক্ষরিত পত্রে ত্রাণ কার্য হিসাবে ১০মে.টন চালের বরাদ্দ দেয়া হয়।
যার মধ্যে ৬টি মন্দির,১টি মসজিদ ও ৩টি হাফিজিয়া মাদ্রাসা লিল্লাহ বডিং এর নামে বরাদ্দ হয়। মন্দির ৬টির জন্য বরাদ্দকৃত চাল ভাগাভাগি আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। মন্দিরের নামে/বেনামে চালের ডিমান্ড অর্ডার
(ডিও) প্রদান করা হলেও খাদ্যগুদামেই চাল বিক্রি করে কয়েকটিতে কিছু টাকা প্রদান করে বাকিগুলি আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। বাকি ৪টি মসজিদ ও মাদ্রাসার চাল পিআইও’র দপ্তর থেকে এখনও ছাড় করা হয়নি।
সরেজমিনে উপজেলার জোড়গাছ নমঃদাস পাড়া সার্বজনীন কালি মন্দিরে গেলে কথা হয় পরিচালক ধলু রাম দাসের সাথে। তিনি জানান,মন্দিরের বরাদ্দ ১টন চালের মধ্যে ২২হাজার টাকা পেয়েছি।তালিকায় থাকা রমনা
মাষ্টারপাড়া সার্বজনীন দুর্গা মন্দিরের বাস্তব কোন অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। সেখানে পূর্জা উদযাপন কমিটির সভাপতি শচীন্দ্র নাথের দোকানের কর্মচারী তপন বর্মনের নাম দিয়ে ডিও পার করা হয়েছে।মাচাবান্দা সাহা
পাড়া সার্বজনীন দুর্গা মন্দিরের সভাপতি শ্রী ধনেশ সাহা ঢাকায় থাকলেও তার নামে স্বাক্ষর প্রদান করে চাল তোলা হয়েছে।মন্দিরটির পূর্জা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক সঞ্জিত রায় জানান, মন্দিরে বরাদ্দের কথা
আমাদের জানানো হয়নি।গোপনে তালিকার খবর পেয়ে খাদ্যগুদামে গিয়ে মন্দিরের নাম দেখতে পাই। পরে পূর্জা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শচীন্দ্র নাথ আমাদের ২৩ হাজার টাকা দিয়ে বিদায় করেন।রনপাগলী
কেন্দ্রীয় সার্বজনীন দুর্গা মন্দিরের সভাপতি ধীরেন্দ্র নাথ বর্মন জানান,পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি তার ভাতিজার নামে চালের ডিও করায় আমি অপমানিত বোধ করেছি। তাকে বরাদ্দ বাবদ ২০হাজার টাকার চেক
প্রদান করা হয়েছিল,তিনি তা ফেরত দিয়েছেন বলে জানান। বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ চিলমারী উপজেলা শাখার সভাপতি শচীন্দ্র নাথ বর্মন জানান,পূর্বের মাটি ভরাটের পাওনা বাবদ আমাকে ৬মে.টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল।পরে সব মন্দিরের পক্ষ থেকে এসে টাকা নিয়ে গেছে।
উপজেলা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.আমজাদ হোসেন বলেন, আমাদের এখানে ডিও হোল্ডাররা ডিওতে স্বাক্ষর করে চাল নিয়ে গেছে। তারা কোথায় কি করেছে তা আমাদের জানা নেই। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার মো.মোশারফ হোসেন বলেন,আমরা মন্দিরের পক্ষে আবেদনকারীদের নামে ডিও প্রদান করেছি।