এ অবস্থায় চলমান এই বিধিনিষেধ আরও এক দফা বাড়ছে কি না, সে বিষয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী মো. ফরহাদ হোসেন বলেছেন, ঈদপরবর্তী এই সপ্তাহটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সমস্ত কিছু বিবেচনায় নিয়েই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের নির্দেশনা দেবেন। আমরা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার অপেক্ষায় আছি।
শনিবার গণমাধ্যমকে প্রতিমন্ত্রী একথা বলেন। ফরহাদ হোসেন বলেন, বিধিনিষেধ বাড়বে কি না- এ রকম কিছুই বলা যাবে না। আমরা কিছুই বলতে পারছি না। বিষয়গুলো পর্যালোচনা চলছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত দেবেন। এখন সবগুলো বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।
কিছুদিন করোনা সংক্রামণ কম থাকার পর আবার সংক্রামণ বাড়ছে? এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সবকিছু আমাদের পর্যালোচনায় আছে। প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নেবেন কী করলে ভালো হবে। আমরা তো আগেই বলেছি ঈদের পরে করোনা বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা থাকবে। সেটা নিয়ে আমরা শঙ্কিত এখনো।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা অনেক দিন ধরে বিধিনিষেধ চালিয়ে আসছি। সবকিছু চিন্তাভাবনা করেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
দূরপাল্লার গণপরিবহন চালু হবে কি না- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, সবকিছু বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত আসবে। তবে অবশ্যই বড় রকমের ঝুঁকি থেকে নিজেদের রক্ষা করতে হবে।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ার পর গত ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে দেশে লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। প্রথমে ঢিলেঢালাভাবে চললেও পরে কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ করে দেশজুড়ে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ দেওয়া হয়। পরে ৪ দফা লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হয়, যা আগামী ২৩ মে মধ্যরাত পর্যন্ত থাকবে।
চলমান এই লকডাউনে বন্ধ করে দেওয়া হয় বাস সার্ভিস, লঞ্চ, বিমান ও রেল যোগাযোগ। তবে পরবর্তীতে অর্ধেক আসন খালি রেখে সিটি করপোরেশন এলাকায় বাস ও অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট চালু করা হয়, যা এখনো চলমান রয়েছে। এ ছাড়া কয়েকটি আন্তর্জাতিক রুটেও ফ্লাইট চালু করা হয়েছে।
জানা গেছে, জনগণের জীবন-জীবিকার কথা বিবেচনা করে লকডাউনের মেয়াদ আর বাড়াতে চায় না সরকার। তবে দেশে ভারতীয় ভেরিয়েন্ট শনাক্ত হওয়ায় কিছুটা উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে চলমান লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে।