নোয়াখালীতে দিন দিন বেড়ে চলেছে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ। গত ২৪ঘন্টায় জেলায় নতুন করে আরও ১১৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
৪৪২ জনের নমুনা পরীক্ষায় এ ফল পাওয়া যায়। এতে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ২৬ দশমিক ২৪ শতাংশ।
এতে জেলায় মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দশ হাজার ৬৮১ জন। মোট আক্রান্তের হার ১১ দশমিক ২১ শতাংশ। জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরো দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।
এ নিয়ে জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩২ জনে। মৃত্যুর হার ১দশমিক ২৪শতাংশ।
এর মধ্যে সদর উপজেলায় মারা যায় ২৫জন, সুবর্ণচরে ২জন, বেগমগঞ্জ-৪৬জন,সোনাইমুড়ীতে ৮জন,চাটখিল ১৩জন, সেনবাগ-১৭জন, কোম্পানীগঞ্জ-৪জন, কবিরহাট ১৭জন।
শুক্রবার ( ২৫জুন) সকালে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোঃ মাসুম ইফতেখার বিষয়টি নিশ্চিত করে। এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ১২টায় জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয় এই সব তথ্য তাদের ফেইসবুক অ্যাকাউন্টেও প্রকাশ করে।
ডা.মাসুম ইফতেখার জানান, নতুন আক্রান্তদের মধ্যে ৫২ জন সদর উপজেলার,সুবর্ণচরে চারজন, বেগমগঞ্জের ২৫ জন, সোনাইমুড়ীর ৪জন, চাটখিলের দশজন, সেনবাগ একজন,
কোম্পানীগঞ্জের চৌদ্দজন ও কবিরহাটের ৬জন রয়েছেন। তিনি আরও জানান, এছাড়া সুস্থ হয়েছেন ৭ হাজার ৪১০ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৬৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ।
এদিকে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা তিন হাজার ৪১৩জন। কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে (শহীদ ভুলু স্টেডিয়াম) ভর্তি রয়েছেন ৪২ জন ও আইসোলেশনে রয়েছেন ১৫জন।
উল্লেখ্য, নোয়াখালীতে করোনার প্রকোপ না কমায় নোয়াখালী পৌরসভা ও ছয়টি ইউনিয়নে চলমান লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়িয়েছে জেলা প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) বিকেল ৫টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সাথে সাথে চৌমুহনী পৌরসভা এবং বেগমগঞ্জের মীর ওয়ারিশপুর ও একলাশপুর ইউনিয়নে লকডাউন ঘোষণা করা হয়।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, প্রথম ধাপে ৫-১১ জুন লকডাউন ঘোষণা করা হয়। এরপর দ্বিতীয় দফায় ১১-১৮ জুন,তৃতীয় দফায় ১৮-২৪জুন, চতুর্থ দফায় ২৫-২জুলাই নোয়াখালী পৌরসভা ও সদর উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হয়। আগামী ২ জুলাই রাত ১২টা পর্যন্ত এ লকডাউন কার্যকর থাকবে।
একই সঙ্গে আগের সব বিধিনিষেধ বহাল থাকবে। এর আগে গত ৪ জুন বিকেলে জেলা সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান প্রথম দফায় লকডাউন ঘোষণা করেন। নোয়াখালী পৌরসভা, চৌমুহনী পৌরসভা ছাড়াও সদর উপজেলার নেয়ান্নই, বিনোদপুর, কাদির হানিফ, নেয়াজপুর, অশ্বদিয়া ও নোয়াখালী ইউনিয়ন, বেগমগঞ্জ উপজেলার মীর ওয়ারিশপুর ও একলাশপুর ইউনিয়নে বিশেষ লকডাউন কার্যকর রয়েছে।