নোয়াখালীর সেনবাগে বিয়ের ১৫দিনের মাথায় ফাতেমা বেগম (১৭) নামের এক নববধূর আত্মহত্যার প্ররোচনার ঘটনায় সেনবাগ থানা পুলিশ স্বামী মোঃ শরীফ (২৫)কে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠিয়েছে। গ্রেফতারকৃত শরীফের বাড়ি লক্ষীপুর সদরের চর রুহিতা গ্রামে।
সে ওই গ্রামের আবদুস বাসেদের ছেলে। এঘটনায় নিহত গৃহবধূর ভাই আবুল কালাম তার বোনকে আত্মহত্যার প্রলোচনার অভিযোগ এনে বোন জামাই শরীফকে একমাত্র আসামী করে সেনবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে মামলা নং ১২ তারিখ ২৬/০৬/২১ইং।
এরআগে গত শনিবার বিকাল (২৬জুন) ৩টারদিকে নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার কাবিলপুর ইউনিয়নের মহিদীপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম মেস্তুরী বাড়ির ভাড়া বাসার দ্বিতীয় তলার নিজ কক্ষের গ্রিলের সঙ্গে গলায় ফাঁসি দিয়ে আত্মেহত্যা করে বলে প্রচার করে স্বামী মোঃ শরীফ।
পরে ওই বাড়ির লোকজন ফাতেমাকে উদ্ধার করে সেনবাগ সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে।
পরে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে সেনবাগ থানা পুলিশ সেনবাগ ঊপজেলা সরকারি ৫০শয্যা হাসপাতাল থেকে ফাতেমার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করে।।
নিহত গৃহবধূর বাড়ি লক্ষীপুর সদরের শাকচর গ্রামে। সে ওই গ্রামের মৃত আবদুল মালেকের মেয়ে। ১৫দিন আগে ফাতেমার সঙ্গে একই এলাকার মাটি কাটার শ্রমিক শরীফের সঙ্গে বিবাহ হয়।
বিয়ের পর স্বামী –স্ত্রী সেনবাগ উপজেলার কাবিলপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড মহিদীপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম মেস্তুী বাড়িতে ভাড়া বাসায় দ্বিতীয় তলায় বসবাস করতো। পারিবারিক বিষয় নিয়ে প্রায় তাদের মধ্যে ঝড়গা বিবাদ লেগেই থাকতো
সেনবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল বাতেন মৃধা লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, লক্ষীপুরের শাকচর গ্রামের মৃত আবদুল মালেকের মেয়ে ফাতেমার সঙ্গে ১৫ দিন আগে একই এলাকার চর রুহিতা গ্রামের আবদুল বাসেদেও ছেলে মোঃ শরীফের বিবাহ হয়।
বিয়ের পর তারা সেনবাগ উপজেলার ৬নং কাবিলপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড মহিদীপুর গ্রামের মৃত নুরুল ইসলাম মেস্তুরী ঘরের ভাড়া বাসায় ওঠে।
বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহের সৃষ্টি হয়। ওই কলহের জেরে শনিবার বিকেলে নববধূ ফাতেমা ভাড়া বাসার দ্বিতীয় তলার নিজ কক্ষের গ্রিলের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে বলে স্বামী শরীফ জানায়।
পরে বাড়ির লোকজন থাকে উদ্ধার করে সেনবাগ সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে। পরে খবর পেয়ে সেনবাগ থানার এসআই আবদুল আউয়াল হাসপাতাল থেকে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে।
পরে শনিবার রাতে নিহত ফাতেমার ভাই আবুল কালাম বাদি হয়ে তার বোনকে হত্যা প্ররোচনা অভিযোগ এনে বোন জামাই শরীফকে অভিযুক্ত করে একটি মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় শরীফকে রোবাবর দুপুরে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।