সুনামগঞ্জে গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে জেলার বিভিন্ন উপজেলার নিন্মা ল প্লাবিত হয়েছে।
এর ফলে জেলা সদরের সাথে কয়েকটি উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। নৌকা নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে।
বর্তমানে জেলার সুরমা নদীতে বিপদ সীমার ৩৬ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে ও সীমান্ত নদী যাদুকাটাসহ বিভিন্ন নদ-নদীতে বিপদ সীমার ১৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে- টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার সীমান্ত নদী চিলাই, মৌলা ও খাসিয়ামারায় বিপদ সীমার সীমার ১৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর ফলে এই উপজেলার
বাংলাবাজার ইউনিয়নের দক্ষিণ চৌধুরীপাড়া, পেকপাড়া, চিলাইপাড়, পুরান বাঁশতলা ও বোগলাবাজার ইউনয়নের আলমখালি, ইদুকোনা, ক্যাম্পেরঘাট, ভোলাখালিসহ নরসিংপুর ইউনিয়নের শ্যামারগাঁও, শ্রীপুর, তেরাপুর, হাতিরভাঙ্গা গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
অপরদিকে জেলার বিশ^ম্ভরপুর উপজেলার দক্ষিণ বাদাঘাট ইউনিয়নের শক্তিয়ারখলা বাজার সংলগ্ন সেতুর ১শ মিটার সড়কসহ দুর্গাপুর মাজার সড়ক পানিতে ডুবে গেছে। এর ফলে নৌকা দিয়ে এই সড়ক পারাপার হতে হচ্ছে।
এই উপজেলার সীমান্তবর্তী ঢালারপাড়, মিয়ারচর, বাদেরটেক ও বিশ^ম্ভরপুর বাজারসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।এছাড়া তাহিরপুর উপজেলার সীমান্ত নদী যাদুকাটায় বিপদ সীমার ১৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত
হচ্ছে। এর ফলে তাহিরপুর-বাদাঘাট সড়ক ও তাহিরপুর-আনোয়ারপুর সড়কসহ আরো অনেক সড়ক পানিতে ডুবে গেছে। ভারত সীমান্তবর্তী এই উপজেলার বালিজুরী, আনোয়ারপুর, মাহতাবপুর, রসুলপুর, দক্ষিণকুল, পাতারগাঁও সহ আরো অনেক নিচু এলাকার প্লাবিত হয়েছে বলে জানা গেছে।
এব্যাপারে দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবাংশু কুমার সিংহ সাংবাদিকদের বলেন- উপজেলার আলমখালি বেড়ী বাঁধ ভাংগা ছিল তাই পাহাড়ি ঢল এসে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। এব্যাপারে খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হবে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সবিবুর রহমান জানান- গত ২৪ ঘন্টায় সীমান্তের ওপারের ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ৫৬০ মিলি মিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। একারণে জেলার পাহাড়ী নদীগুলো দিয়ে ঢল নামছে। আগামী ২৪ ঘন্টা ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।