বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত সরকারি জাকাত বোড শিশু হাসপাতাল গাজীপুরের টঙ্গীর এরশাদনগরে অবস্থিত। এই শিশু হাসপাতালে প্রতিনিয়ত প্রায় দেড় থেকে দুইশত রোগী চিকিৎসা সেবা গ্রহণের জন্য আসেন।
সরকারী অর্থায়নে পরিচালিত ডাক্তার ও স্টাফ থাকলেও অভিযোগ রয়েছে নানা অনিয়মের। সেবা নিতে আসা রোগীদের অভিযোগ জাকাত হাসপাতালে রোগীর চিকিৎসা না দিয়ে তার ব্যক্তিগত চেম্বারে রোগী পাঠিয়ে দেন।
গতকাল মঙ্গলবার ডিউটি ফাকি দিয়ে ব্যক্তিগত চেম্বারে রোগী দেখছেন এমন সংবাদের ভিত্তিতে স্থানীয় সংবাদ কর্মীরা উপস্থিত হন। উপস্থিতি টের পেয়ে দ্রুত চেম্বার থেকে সর্টকে পরেন ডাক্তার কামরুন নাহার সুমী।
এ সময় ব্যক্তিগত চেম্বার মক্কা ফার্মেসী এরশাদন ৩নং ব্লক বড় মসজিদের সামনে অবস্থিত একজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন মহিলা বলেন, সে এখানে এসেছিল, এমনিতেই দেখা করতে।
এর কিছুক্ষণ পর বলেন টাকা দিতে এসেছিল। বিষয়টি ধ্রর্মজাল সৃষ্টি হয়। তখন সময় ঘরির কাটায় ১১টা ৫০ মিনিট। আমাদের দৃষ্টি জাকাত বোড হাসপাতালের দিকে। সেখানে গিয়ে দেখা যায়,
জাকাত বোড হাসপাতালের চেম্বারে ডাক্তারের আসনটি ফাঁকা। সেখানে উপস্থিত কর্তব্যরত একজনকে পাওয়া গেলেও সাংবাদিকদের সাথে কোন ধরনের কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান।
এ বিষয়ে ডাক্তার কামরুন নাহার সুমীর মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমাদের চাকুরীতে কোন নির্দিষ্ট সময় নেই। রোগী যতক্ষণ থাকে, ততক্ষণ ডিউটির সময়।
রোগী নাইতো চলে এসেছি। ব্যক্তিগত চেম্বারে যাওয়ার বিষয় তিনি বলেন, আমি আমার স্বামীর ঔষধ আনতে গিয়েছিলাম। আবার বলেন আমি টাকা পাই, টাকা আনতে গিয়েছিলাম।
আসলে বিষয়টি এলোমেলো বক্তব্য পেশ করতে এক পর্যায়ে তাহার স্বামী জসিম উদ্দিন নামে একজন পরিচয় প্রতিবেদককে বলেন, এলাকার সকল সাংবাদিক আমার পরিচিত।
আমি বাংলাদেশের সকল টেলিভিশনে টকশোর বক্তা। কিছু সময় পর ঘটনাস্থল জাকাত বোড হাসপাতালে উপস্থিত হইয়া ডাক্তার কামরুন নাহার সুমীর স্বামী পরিচয়ে জসিম উদ্দিন সংবাদকর্মীদের উপর চড়াও হন।
এমনকি এশিয়ান টেলিভিশন চেয়ারম্যান হারুন তার বন্ধু বলে দাবী করেন। এখানে আমার পরিচয় পাওয়ার পরেও আপনারা কেন আসলেন বলে চড়াও হয়। যেখানে সরকারি টাকায় গরিব অসহায় লোক বিনা পয়সায় চিকিৎসা সেবা পাওয়ার কথা সেখানে ডাক্তার এর স্বেচ্ছাচারীতা রোগীরা ডাক্তার সুমীর ধায্যকৃত চেম্বার ফি পরিশোধ করে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করতে হয়। এ ধরনের হয়রানি বন্ধ না হলে কাঙ্খিত সেবা থেকে বি ত হবে শত শত অসহায় হতদরিদ্র পরিবার।