গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গীতে যাত্রীদের বাসে সিট দিতে না পেরে উল্টো যাত্রীর স্বজনদের পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছে বাস কাউন্টার ম্যানেজার বুলবুলের নেতৃত্বে। গতকাল রোববার সকাল ১০ঘটিকার সময় গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী পূর্ব থানা সংলগ্ন ঢকা কালিগঞ্জ মহাসড়কে ইকনো বাস কাউন্টার এই ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, টঙ্গী জামাই বাজার এলাকার ব্যবসায়ি আল আমিন, জাকির ও আবির। এ সময় কাউন্টারে থাকা অপেক্ষমান অন্যান্য যাত্রীদের সহযোগিতায় আহতদের উদ্ধার করে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।
আহত আল আমিন জানান, সকালে তার পরিবারের সদস্যদের টঙ্গী থেকে কিশোরগঞ্জ ভৈরবগামী বাসে তুলে দিতে তিনি টঙ্গী স্টেশন রোডে ইকোনো বাস কাউন্টারে গিয়ে নির্ধারিত মূল্য ১৫০ টাকার পরিবর্তে বর্ধিত ভাড়া সরকার ঘোষিত ৬০% আনুপাতিক হারে ২৫০ টাকা প্রতি টিকেট মূল্য পরিশোধ করে দুইটি টিকেট ক্রয় করেন। বাসের জন্য অপেক্ষমান থাকা অবস্থায় একের পর এক গাড়ী কাউন্টার ত্যাগ করলেও কোন গাড়িতেই সিটের ব্যবস্থা না করাতে প্রায় দুই ঘন্টা অতিবাহিত হলে টিকেট ফেরত নেয়ার প্রস্তাব করে যাত্রী আল আমিন। এতে করে কাউন্টারে দায়িত্ব থাকা ম্যানেজার বুলবুল যাত্রীর উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের খবর দিয়ে এনে যাত্রীদের উপর হামলা চালায়। এ সময় তাদের হামলায় গুরুতর আহত হয় তিন যাত্রী। এরা হলেন, আল আমিন, আবির ও জাকির। এদের মধ্যে গুরুতর আহত জাকির হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ বিষয়ে ইকনো বাস কাউন্টার ম্যানেজার বুলবুল হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আল আমিন প্রথমে তার ওপর হামলা চালিয়ে তাকে রক্তাক্ত জখম করে। এ ছাড়া আল আমিনের স্বজনদের পেটানোর অভিযোগ সত্য নয় বলেও তিনি দাবি করেন।
এ ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিতর্কের এক পর্যায়ে বুলবুল ও আল আমিনের মধ্য হাতাহাতি শুরু হয়। এক পর্যায় ২০ থেকে ২৫ জন লোক এসে যাত্রীদের উপর এলোপাথারী মেধড়ক মারধর করে গুরুতর আহত করে। ইকোনো কাউন্টারের ম্যানেজার জানান, এই কাউন্টার বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা রেজাউল করিম এর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়। এ বিষয়ে জানতে ছাত্রলীগ নেতা রেজাউল করিমের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দেন।
এ বিষয়ে টঙ্গী পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ জাবেদ মাসুদ জানান, বিষয়টি আমি অবগত রয়েছি। এখনও লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।