শিফট ভাগ করে লকডাউনে শ্রমিকদের স্বাস্থ্যবিধি মেনেই কারখানা চলছে রাজধানীতে। সব কর্মীকে সরকারি নির্দেশনা মেনে কাজে যোগ দেয়ার আহ্বান জানালেন কারখানা মালিকরা। অন্যদিকে কারখানা খোলা রেখে ঠিকভাবে বেতন-বোনাস পরিশোধের দাবি জানান শ্রমিক নেতারা।
সোমবার (৫ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর শিল্প এলাকা তেজগাঁওয়ে গিয়ে দেখা যায়, নিয়ম মেনে সব কলকারখানা খোলা রাখা হয়েছে। দেশে চলমান করোনা মহামারিতে লকডাউনের দ্বিতীয় পর্যায়ে শ্রমিকরা ভোর থেকে কাজে যোগ দিয়েছেন।
দ্বিতীয় ধাপে করোনার প্রকোপ বাড়ায় আবারো শুরু হয়েছে লকডাউন। গত বছরের মার্চে লকডাউনে কারখানা খোলা বা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তে দ্বিধাদ্বন্দ্ব ছিল। কিন্তু এবার শুরুতেই কারখানা খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেন পোশাকশিল্প কারখানার মালিকরা।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে এরই মধ্যে পোশাকশিল্পের মালিকরা বৈঠক করেছেন। সব কর্মী একই সময়ে গাদাগাদি করে যাতে কারখানায় প্রবেশ না করে, সে জন্য কয়েকটি ভাগে শিফট শুরু করেছেন তারা।
গত বছরে করোনার বৈশ্বিক তাণ্ডবে পোশাক শিল্প ক্ষতির মুখে পড়ে। এবার আবারও প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় ইউরোপ-আমেরিকার বিভিন্ন দেশে লকডাউন শুরু হয়েছে। তাই বাংলাদেশের অর্থনীতির স্বার্থে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কারখানা চালু রেখে টিকে থাকাই এখন সবচে বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা।
এদিকে, গণপরিবহন বন্ধ থাকায় যেসব শ্রমিক কারখানা এলাকার থেকে দূরে থাকেন তাদের ভোগান্তি পোহাতে হয়। এমন আশঙ্কা থেকে কাজে যোগ দিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরিবহন নিশ্চিত করার দাবি শ্রমিক নেতাদের।
বাংলাদেশের রফতানির ৮৬ শতাংশের জোগান দেয় তৈরি পোশাকশিল্প। এ খাতে ৪০ লাখ শ্রমিক কাজ করেন। এদের মধ্যে মাত্র দশমিক ৩ শতাংশ শ্রমিক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানান বিজিএমইএ’র সভাপতি ড. রুবানা হক।
গতকাল তিনি সময় সংবাদকে বলেন, আমাদের প্রতিটি কারখানায় শ্রমিক প্রবেশের সময় ভাগ করে দেয়া হয়েছে। অফিসে যারা কাজ করবেন সেখানে যারা না গেলে নয় তারাই যাবেন। এক্ষেত্রে কী করতে হবে, যারা অফিস করবেন তাদের জন্য গাড়ির ব্যবস্থা করতে হবে মালিকদের।
বিজিএমইএ’র সাবেক সহ-সভাপতি শহিদুল্লা আজিম বলেন, শ্রমিকদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব কাজ করা হবে।