মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া-সুনামগঞ্জে রাতের আধারে হাওরের বেরি বাঁধ কেটে দিয়েছে দুবৃত্তরা। এর ফলে আমন ধানের বীজ তলা পানিতে তলিয়ে কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। আর এই ঘটনাটি ঘটেছে জেলার জামালগঞ্জ উপজেলার পাকনার হাওরে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে- সুনামগঞ্জ জেলা ধান উৎপাদনের ভান্ডার খ্যাত পাকনার হাওরের জামালগঞ্জ উপজেলার ফেনারবাক ইউনিয়নের গজারিয়া ও কামধরপুর গ্রামের মাঝে অবস্থিত বেরি বাঁধের একাংশ গত শনিবার (২১ আগষ্ট)
রাতের আধারে কেটে দেয় দুবৃত্তরা। এর ফলে উপজেলার ফেনারবাক ইউনিয়নের গজারিয়া, কামধরপুর ও আলীপুরসহ আশেপাশে অবস্থিত কয়েকটি গ্রামের আমন ধানের বীজতলা পানিতে তলিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। একারণে প্রায় ৬শ বিঘা আমন ধান রোপনের করতে পারবেনা কৃষকরা[
এঘটনার প্রেক্ষিতে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের মাঝে চরম ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে। কিন্তু কারা এই কাজটি করেছে তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে ধারনা করা হচ্ছে এলাকা মাছ খেকো জেলেরা মাছ ধরার জন্য এই কাজটি করেছে।
কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে এব্যাপারে এখনও পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে জানা গেছে। এব্যাপারে গজারিয়া গ্রামের কৃষক প্রবেল মিয়া, জলিল মিয়া, কামধরপুর গ্রামের কৃষক তোফায়েল মিয়া, আবুল কাসেম,
আলীপুর গ্রামের রহমান মিয়াসহ আরো অনেকেই বলেন- যারা বেরি বাঁধ কেটে কৃষকদের ক্ষতিগ্রস্থ করেছে, তাদেরকে শীগ্রই আইনের আওতায় নিয়ে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্থি দেওয়ার জন্য প্রশাসনের আন্তরিক সহযোগীতা কামনা করছি।
জামালগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাশরেফুল আলম বলেন- পাকনার হাওরে গজারিয়া বেরি বাঁধটি কেটে দেওয়ার কারণে ২ হেক্টর আমন বীজতলা পানিতে আক্রান্ত হয়েছে। তার মধ্যে ১ হেক্টর বীজতলা পুরো নষ্ট হয়েগেছে। সঠিক সময়ের মধ্যে আমন চাষ না করতে পারলে কৃষকদেরকে বিরাট ক্ষতির সম্মুখিন হতে হবে।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ^জিত দেব সাংবাদিকদের বলেন- পাকনার হাওরের বেরি বাঁধের ক্লোজারটি যারা কেটে দিয়েছে তাদেরকে খোঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে। এজন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে অনুসন্ধ্যান চলছে।