মোঃ জাহাঙ্গীর আলম,নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ২নং কেশারপাড় ইউনিয়নের বীরকোট গ্রামের দাবীকৃত যৌতুকের ২লাখ টাকা না পেয়ে এক সন্তানের জননী ও ৪ মাসের অন্তঃসত্বা কল্পনা আক্তার প্রকাশ মুন্না (২৪) নামের
এক নারীকে বসতঘরের ভিতরে আটকিয়ে রেখে মধ্যযুগীয় কায়দায় স্বামী, শ্বাশুড়ী ও ননদ মিলে এলোপাথাড়ী পিটিয়ে আহত করার ঘটনায় সেনবাগ থানা পুলিশ অভিযুক্ত তিন জনকে গ্রেফতার করেছে। এরা হচ্ছেঃ স্বামী আনোয়ার হোসেন
(৩২), শ্বাশুড়ী হরমুজা বেগম (৬৩) ও ননদ শাহেদা আক্তার (৩৫)। গ্রেফতারকৃতদের রোববার দুপুরে নোয়াখালীর বিচারিক আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
ই নির্যাতনের ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর )বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে সেনবাগ উপজেলার ২নং কেশারপাড় ইউনিয়নের বীরকোট গ্রামের জাহাজী মন্নানের বাড়িতে।
মামলার এজাহার সুত্রে জানাগেছে, সেনবাগ উপজেলার ৩নং ডমুরুয়া ইউনিয়নের পরিকোট উত্তর পাড়া সুতা ব্যাপারী বাড়ির ইয়াছিনের মেয়ে কল্পনা আক্তার প্রকাশ মুন্না সঙ্গে ৫ বছর আগে ডমুরুয়া ইউনিয়নের বীরকোট গ্রামের জাহাজী
মন্নানের বাড়ির তনু মিয়ার ছেলে আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক ৬লক্ষ টাকা দেন মোহরে বিবাহ হয়।
বিবাহের দুই বছর পর আনোয়ার হোসেন বিদেশ বাহারানইন যাবার কথা বলে কল্পনা আক্তার প্রকাশ মুন্নার পিতা ইয়াছিনের নিকট থেকে দেড় লাখ টাকা হাওলাত নেয় পর্যায় ক্রমে পরিশোধ করবে বলে।
কিন্তু সে ওই টাকা আর পরিশোধ করেনী সে। নির্যাতনের শিকার গৃহবধূর স্বামী বিগত ৪মাস আগে বিদেশ থেকে দেশে এসে শশুর বাড়ি থেকে আরো দুই লাখ টাকা এনে দিকে গৃহবধূ কল্পনা আক্তার প্রকাশ মুন্নাকে চাপ দিতে থাকে।
কিন্তু মুন্নার অভাবগ্রস্থ পিতার পক্ষে যৌতুকের ২লাখ টাকা দেওয়া সম্বব নয় বলে জানিয়ে দিলে স্বামী, শাশুড়ী ও ননদ ক্ষিপ্ত হয় এবং নানা অজুহাতে তাকে মারধর সহ নির্যাতন শুরু করে।
কিন্তু ছেলে আফ্রান হোসেন (৪) ও অনাগত ৪মাসের অন্তঃসত্ব শিশুর কথা চিন্তা করে সকল অত্যাচা নির্যতন শর্য করে স্বামীর সংসার কার্য করে যাচ্ছিল সে।
শনিবার বিকেলে স্বামী আনোয়ার হোসেন আবারো যৌতুকের ২লাখ টাকা এনে দিতে বললে গৃহবধূ কল্পনা আক্তার প্রকাশ মুন্না অপরাগতা প্রকাশ করলে স্বামী আনোয়ার হোসেন, শ্বাশুড়ী হরমুজা বেগম ও ননদ শাহেদা বেগম তার ওপর এতে
ক্ষিপ্ত হয়েয় তারা সকলে মিলে মোবাইল ফোনে অন্য কারো সথে কথা বলে মিথ্যা অভিযোগ এনে এই অজুহাতে এক সন্তানের জননী ও ৪মাসের অন্তঃসত্বা কল্পনা আক্তার প্রকাশ মুন্নাকে মধ্যযুগীয় কায়দায় এলাপাথাড়ী পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।
এ সময় তার আত্মচিৎকারে আশপাশ্বে লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। নির্যাতনের বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যশ ফেজবুকে ভাইরাল হলে শনিবার গভীর রাতে সেনবাগ থানা পুলিশ এক অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেফতার করে।
এ ঘটনায় গৃহবধূ তিনজনকে আসামী করে সেনবাগ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে।
এব্যাপারে সেনবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল বাতেন মৃধা সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,গ্রেফতারকৃদের রোববার নোযাখালী বিচারিক আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।