কুড়িগ্রামের উলিপুরে সরকারি খোলা বাজারের (ওএমএস) চাউল কালো বাজারে বিক্রির সময় বিক্ষুব্ধ জনতা ১০১০ কেজি চালসহ দুই ভ্যান চালককে আটক করে পুলিশে দিয়েছে।
পুলিশ চাল পরিবহনের সাথে জড়িত দুই ভ্যান চালক আব্দুস শহিদ ও আব্দুল কুদ্দুস জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দিলেও পরে উলিপুর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা বাদী হয়ে উলিপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
ভ্যান চালকদের দেয়া তথ্য মতে জানা যায়, সোমবার (১৩ই সেপ্টেম্বর) দুপুরে ওএমএস চাউল ডিলার সাজেদুল ইসলাম ওরফে পুবেল (৪০) উলিপুর সরকারি খাদ্য গুদাম থেকে সরবরাহ করা চাল খোলা বাজারে বিক্রির জন্য মধ্য বাজারের
মেসার্স কাশেম চাল কল মালিকের দোকান ঘরে পৌঁছে দিতে বলেন। তার কথা মতো ভ্যান চালকদ্বয় উল্লেখিত পরিমাণ চাল নিয়ে মধ্য বাজারে নিয়ে গেলে জনতার সন্দেহ হয়।
এ সময় তারা চালকদের আটক করে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উক্ত ১০১০ কেজি চাল আটক করে জব্দ তালিকা প্রস্তুত করেন ও দোকান ম্যানেজার আনোয়ার হোসেন (৩৭) কে আটক করে থানায় নিয়ে যান।
পুবেল খাদ্য বিভাগের তালিকাভূক্ত (ওএমএস) চাউল ডিলার বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা বাদী হয়ে সাজেদুল ইসলাম ওরফে পুবেল (৪০), সেকেন্দার আলী মোল্লা (৪৫) ও আনোয়ার হোসেন (৩৭) কে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন।
অভিযুক্ত সাজেদুল ইসলাম ওরফে পুবেল উপজেলা আওয়ামীলীগ এর সহ-সভাপতি সোলায়মান সরদার বাদশার পুত্র ও উপজেলা আওয়ামীলীগ এর সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম হোসেন মন্টু’র জামাতা।
মামলার বাদী উলিপুর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা আলাউদ্দিন বসুনিয়া জানান, ভ্যান চালকদের স্বাক্ষ্যমতে উলিপুর থানায় মামলা করেছি।
গোডাউনে চালের বস্তার হিসাব ঠিক রয়েছে কিন্তু কিভাবে সরকারি বস্তায় চাল প্যাকেট হয়ে বাজারে আসলো বিষয়টি ভালোভাবে দেখার জন্য পুলিশকে দায়িত্ব দিয়েছি।
এ ব্যাপারে মঙ্গলবার দুপুরে উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইমতিয়াজ কবির জানান, ওএমএস এর চাউল কালো বাজারে বিক্রির দায়ে তিনজনের নামে একটি মামলা হয়েছে, মামলা নং- ১৬। আটক আনোয়ার হোসেনকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।