নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে করোনা ভাইরাসের ২য় ঢেউ মোকারেলায় লকডাউনে খাবার হোটেলগুলোতে বসিয়ে খাবার বিক্রি করা নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও বসিয়ে খাবার বিক্রি করতে দেখা গেছে। তবে খাবার হোটেলগুলোতে মাস্কের ব্যবহার নেই। এই উপজেলায় করোনায় মৃত্যুর হার সর্বোচ্চ।
করোনার ২য় ঢেউ মোকাবেলায় মাস্কের ব্যবহার গুরুত্ব কথা থাকলেও ব্যবহার নেই। কিন্তু সরকারি অফিস ছাড়া আর কোথাও মাস্কের ব্যবহার নেই বললেই চলে। করোনা সচেতনা শুধু সভা-সেমিনার আর বক্তব্যেই সীমাবদ্ধ।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনের কঠোর মনিটরিং দাবি করছেন সচেতন মহল। রূপগঞ্জ এখনো করোনা ঝুঁকি মুক্ত নয়। প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ বিষয়টি গুরুত্ব দিলেও বাড়ছে না গণসচেতনতা। বুধবার (৭এপ্রিল) সকালে করোনা ভাইরাসের ২য় ঢেউ মোকাবেলার লক্ষ্যে বিভিন্ন খাবার রেস্টুরেন্টগুলোতে গিয়ে দেখা গেছে, বসিয়ে খাবার বিক্রিতে।
এছাড়া যারা খাবার বিক্রি করছে তাদের কারো মুখে মাস্ক নেই। এমনকি যারা খাবার তৈরি করছে এবং পরিবেশন করছে তাদের কারো মুখে মাস্ক দেখা যায়নি। প্রশাসনের কোনো তাদারকি না থাকায় করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় ঘোষিত লকডাউনে মাস্কের ব্যবহার কমে গেছে। লকডাউনের প্রথম দিনেও সাধারণ মানুষকে মাস্ক বিহীন অনায়াসে রাস্তায় চলাচল করতে দেখা যায়। গোপন সূত্রে জানা যায়, উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক মাস্কের ব্যবহার নিয়ে কোথাও কোন ধরনের জরিমানা করা হয়নি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, বুধবার (৭ এপ্রিল) করোনা ভাইরাসে আক্রান্তে তিন নারীর মৃত্যু হয়। এছাড়া এ পর্যন্ত উপজেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৯৯৫জন। সর্বশেষ ৫৬জনের নমুনা পরীক্ষায় ৩৮জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহ্ নুসরাত জাহান বলেন, খাবার রেস্টুরেন্টগুলোতে কাস্টমার বসিয়ে খাবার বিক্রি সম্পূর্ণ নিষেধ। আর কেউ যদি বসিয়ে খাবার বিক্রি করে তাদের ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমি এবং সহকারী ভূমি অফিসার প্রতিদিনই মাস্কের বিষয়ে প্রতিটি এলাকায় গিয়ে দেখি। এ পর্যন্ত অনেকবার আমরা অনেককে জরিমানাও করেছি মাস্ক ব্যবহার না করায়।