কুড়িগ্রামের উলিপুরে চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে উপজেলার তেরটি ইউনিয়নে নির্বাচনি প্রচার-প্রচারনা জমে উঠেছে। তবে নির্বাচনি প্রচারণায় আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে এক প্রার্থীর বিরুদ্ধে।
হাতিয়া ইউনিয়নের জাতীয় পার্টি মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীর পোস্টারে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে দলের প্রয়াত প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ছবি ব্যবহার করেছেন।
এ ঘটনায় রিটানিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছে ওই ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের প্রার্থী।
অভিযোগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান বিএম আবুল হোসেন।
তিনি মার্কা পাওয়ার পর থেকেই আচরণবিধি লঙ্ঘন করে বর্তমান জাতীয় পার্টির প্রধানের ছবি ছাড়াও দলের প্রয়াত প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ছবি ব্যবহার করে বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার সাঁটিয়েছেন।
আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনায় রোববার (১৯ ডিসেম্বর) হাতিয়া ইউনিয়ন পরিষদের নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী শায়খুল ইসলাম নয়া ওই ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটানিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
সরেজমিন সোমবার (২০ ডিসেম্বর) ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, হাতিয়া ইউনিয়নের জাতীয় পার্টি মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী বিএম আবুল হোসেন আচরণবিধি লঙ্ঘন করে পোস্টার ও ফেস্টুনে নিজ ছবির সঙ্গে বর্তমান দলীয় প্রধান ও প্রয়াত দলীয় প্রধানের ছবি ছাপিয়েছেন।
আবার এসব পোস্টার ও ছবি আচরণ বিধির তোয়াক্কা না করে বসতবাড়িসহ বিভিন্ন স্থাপনার দেওয়ালে লাগিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ইউনিয়ন পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬-এর ৮(৫) ধারায় বলা হয়েছে, নির্বাচনি প্রচারণায় কোনও প্রতিদ্ব›দ্ধী প্রার্থী নিজ ছবি ও প্রতীক ব্যতীত অন্য কারও নাম, ছবি বা প্রতীক ছাপাতে বা ব্যবহার করতে পারবেন না।
তবে শর্ত থাকে যে, প্রতিদ্ব›দ্ধী প্রার্থী কোনও রাজনৈতিক দলের মনোনীত হলে সে ক্ষেত্রে তিনি কেবল তার দলের বর্তমান দলীয় প্রধানের ছবি পোস্টারে বা লিফলেটে ছাপাতে পারবেন।
একই বিধিমালার ৮(৮) উপধারায় বলা হয়েছে, কোনও প্রার্থী বা প্রতিদ্ব›দ্ধী প্রার্থী বা তার পক্ষে কোনও ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান বা রাজনৈতিক দল নির্বাচনি এলাকায় অবস্থিত দেয়াল বা
যানবাহনে পোস্টার লিফলেট বা হ্যান্ডবিল লাগাতে পারবেন না। তবে ভোটকেন্দ্র ব্যতীত নির্বাচনি এলাকার যেকোনও স্থানে পোস্টার ঝুলিয়ে রাখা যাবে।
এ বিষয়ে হাতিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী বিএম আবুল হোসেনের সাথে মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
হাতিয়া ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটানিং কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, ইতিমধ্যে লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থীকে ওই সকল
ব্যানার ও পোস্টার অপসারন করতে বলা হয়েছে এবং কোন রকম লাইটিং না করার জন্য বলা হয়েছে। এরপরেও যদি নিদের্শ অমান্য করে নির্বাচনী আচরনবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।